ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হজের প্যাকেজ কমাতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজের প্যাকেজ সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

সোমবার (৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্ট্যাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে হজ প্যাকেজ সংশোধন করে ৪ লাখ টাকার মধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগের বছর ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

হজের আগাম নিবন্ধনেও এর প্রভাব পড়েছে। অনেকে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার হজে যাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়েছেন। কেউ কেউ হজের পরিবর্তে ওমরায় যাচ্ছেন। এই অবস্থায় উকিল নোটিশ পাঠানো হলো।

গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। গত বছর বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

এদিকে বিমান ভাড়া কমানোসহ হজ প্যাকেজের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনুসারে- ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

আটাবের চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অথচ এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হজের এমন খরচ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া। তারা বলছেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেবল অতিরিক্ত লাভের আশায় ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

হজের প্যাকেজ কমাতে লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজের প্যাকেজ সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

সোমবার (৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্ট্যাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে হজ প্যাকেজ সংশোধন করে ৪ লাখ টাকার মধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগের বছর ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

হজের আগাম নিবন্ধনেও এর প্রভাব পড়েছে। অনেকে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার হজে যাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়েছেন। কেউ কেউ হজের পরিবর্তে ওমরায় যাচ্ছেন। এই অবস্থায় উকিল নোটিশ পাঠানো হলো।

গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। গত বছর বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

এদিকে বিমান ভাড়া কমানোসহ হজ প্যাকেজের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনুসারে- ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

আটাবের চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অথচ এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হজের এমন খরচ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া। তারা বলছেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেবল অতিরিক্ত লাভের আশায় ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।