ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আর দাঁড়াতে দিবে না যুবসমাজ : পরশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আর মাথা উচু করে দাঁড়াতে দিবে না যুবসমাজ। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় যুব মহাসমাবেশ করবে যুবলীগ। জনসমুদ্রে পরিনত হবে যুব মহাসমাবেশ। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত এর সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) যুবলীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সব কথা বলেন।

অন্য যে কোন বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর চেয়ে এবারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পূর্ণ আলাদা দাবি করে পরশ জানান, সমাবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা থাকবে যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি। রাজপথে বিরোধী দলের হুঙ্কার ও সহিংসতা মোকাবেলার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন প্রচারে মাঠে কাজ করবে যুবলীগ।

তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথ-পরিক্রমায় যেকোনো সঙ্কট-সংগ্রামে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যে মুহূর্তে আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি; তখনই বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে।

সমাবেশস্থলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সমাবেশ সফল করতে ১০টি উপ–কমিটি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রাখা হবে। এ সমাবেশ হবে তারুণ্য, সাহসের ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য যুব মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে রচিত হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ইস্পাত-কঠিন ভিত্তি। যা বিএনপি-জামায়াতের কাছে অজেয়, দুর্লঙ্ঘনীয়।

তিনি বলেন, দেশের অদম্য অগ্রগতির ধারা রক্ষায় সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে যুবলীগ। কেননা, যুবলীগ বিশ্বাস করে- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুবলীগ ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

পরশ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট দুঃসহ দিনগুলোর কথা নিশ্চয়ই আপনারা ভুলে যাননি। ৯২ দিনের অবরোধ! দেড় শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। গোটা দেশকেই তারা বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল। আজকের বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াতের সেই লেলিহান শিখায় পুড়তে চায় না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে সমাবেশে উপস্থিত যুবসমাজের প্রতি নির্দেশ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১০ ডিসেম্বর নয় যুবলীগ ১২ নভেম্বর থেকেই রাজপথে দখলে নেবে বলেও মন্তব্য করেন যুবলীগ চেযারম্যান।

যুবলীগের সংবাদ সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করীম রেজা সহ দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আর দাঁড়াতে দিবে না যুবসমাজ : পরশ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আর মাথা উচু করে দাঁড়াতে দিবে না যুবসমাজ। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় যুব মহাসমাবেশ করবে যুবলীগ। জনসমুদ্রে পরিনত হবে যুব মহাসমাবেশ। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত এর সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) যুবলীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সব কথা বলেন।

অন্য যে কোন বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর চেয়ে এবারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পূর্ণ আলাদা দাবি করে পরশ জানান, সমাবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা থাকবে যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি। রাজপথে বিরোধী দলের হুঙ্কার ও সহিংসতা মোকাবেলার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন প্রচারে মাঠে কাজ করবে যুবলীগ।

তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথ-পরিক্রমায় যেকোনো সঙ্কট-সংগ্রামে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যে মুহূর্তে আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি; তখনই বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে।

সমাবেশস্থলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সমাবেশ সফল করতে ১০টি উপ–কমিটি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রাখা হবে। এ সমাবেশ হবে তারুণ্য, সাহসের ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য যুব মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে রচিত হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ইস্পাত-কঠিন ভিত্তি। যা বিএনপি-জামায়াতের কাছে অজেয়, দুর্লঙ্ঘনীয়।

তিনি বলেন, দেশের অদম্য অগ্রগতির ধারা রক্ষায় সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে যুবলীগ। কেননা, যুবলীগ বিশ্বাস করে- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুবলীগ ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

পরশ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট দুঃসহ দিনগুলোর কথা নিশ্চয়ই আপনারা ভুলে যাননি। ৯২ দিনের অবরোধ! দেড় শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। গোটা দেশকেই তারা বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল। আজকের বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াতের সেই লেলিহান শিখায় পুড়তে চায় না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে সমাবেশে উপস্থিত যুবসমাজের প্রতি নির্দেশ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১০ ডিসেম্বর নয় যুবলীগ ১২ নভেম্বর থেকেই রাজপথে দখলে নেবে বলেও মন্তব্য করেন যুবলীগ চেযারম্যান।

যুবলীগের সংবাদ সম্মেলনে শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করীম রেজা সহ দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।