ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস: পাকিস্তানের দলিলেও বঙ্গবন্ধুর নাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তর সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা বহু বিদেশী ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পরদিন ২৭শে মার্চ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। বিশ্বজুড়ে এমনকি একাত্তরের শত্র“ রাষ্ট্র পাকিস্তানের দলিলেও বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার ইতিহাস শুধু বঙ্গবন্ধু মুজিবের নামেই লিপিবদ্ধ। অথচ আজ ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময়ও দেশে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে বিকৃতি ও বিভ্রান্তির রাজনীতিকে ভয়ংকর দুঃখজনক বলছেন ইতিহাসের গবেষকরা।

পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনা ও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম চুড়ান্ত পরিণতি পায় একাত্তর সালে। গণতান্ত্রিক উপায়ে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন তা নস্যাৎ করতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকরা একাত্তরের ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করে। সেই ভয়ংকর জেনোসাইডের রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানী সেনারা। কিন্তু তার আগেই শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বার্তা ছড়িয়ে দেন সর্বত্র।

কিভাবে দিলেন, কিভাবে ছড়ালেন এবং সেটা যে সঠিক সময়ে দিয়েছিলেণ তা নিয়ে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক ও গবেষক আবু মো: দেলোয়ার হোসেন এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জাফর ওয়াজেদ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই দুই গবেষক জানান, একাত্তরের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা খবর পরদিন ২৭শে মার্চ বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হয়।

পাকিস্তানী সামরিক শাসকরা ২৫শে মার্চ রাত থেকে জেনোসাইড শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহের তথ্য বিশ্বের কাছে লুকানোর চষ্টা করলেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার খবর চাপা থাকেনি। অথচ দেশে আজও তা নিয়ে বিভ্রান্তি ও ইতিহাস বিকৃতিকে চরম দুুঃখজনক বলছেন গবেষকরা।

জাফর ওয়াজেদ জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানি শাসকরা বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত করেছে তাতেও স্বাধীনতার ঘোষনার ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারো নাম নেই। অথচ আমাদের দেশে এখনও বিকৃতি করছে, যা দুঃখের।

এই গবেষকরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্বাস করতেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা কখনও জনবিচ্ছিন্ন হয় না। সেই আত্মবিশ্বাসের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে এবং তাঁরই নামে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বর্বর পাকিস্তানী শাসকদের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বাঙালি জাতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস: পাকিস্তানের দলিলেও বঙ্গবন্ধুর নাম

আপডেট সময় : ০৩:২০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তর সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা বহু বিদেশী ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পরদিন ২৭শে মার্চ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। বিশ্বজুড়ে এমনকি একাত্তরের শত্র“ রাষ্ট্র পাকিস্তানের দলিলেও বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার ইতিহাস শুধু বঙ্গবন্ধু মুজিবের নামেই লিপিবদ্ধ। অথচ আজ ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময়ও দেশে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে বিকৃতি ও বিভ্রান্তির রাজনীতিকে ভয়ংকর দুঃখজনক বলছেন ইতিহাসের গবেষকরা।

পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনা ও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম চুড়ান্ত পরিণতি পায় একাত্তর সালে। গণতান্ত্রিক উপায়ে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন তা নস্যাৎ করতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকরা একাত্তরের ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করে। সেই ভয়ংকর জেনোসাইডের রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানী সেনারা। কিন্তু তার আগেই শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বার্তা ছড়িয়ে দেন সর্বত্র।

কিভাবে দিলেন, কিভাবে ছড়ালেন এবং সেটা যে সঠিক সময়ে দিয়েছিলেণ তা নিয়ে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক ও গবেষক আবু মো: দেলোয়ার হোসেন এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জাফর ওয়াজেদ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই দুই গবেষক জানান, একাত্তরের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা খবর পরদিন ২৭শে মার্চ বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হয়।

পাকিস্তানী সামরিক শাসকরা ২৫শে মার্চ রাত থেকে জেনোসাইড শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহের তথ্য বিশ্বের কাছে লুকানোর চষ্টা করলেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার খবর চাপা থাকেনি। অথচ দেশে আজও তা নিয়ে বিভ্রান্তি ও ইতিহাস বিকৃতিকে চরম দুুঃখজনক বলছেন গবেষকরা।

জাফর ওয়াজেদ জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানি শাসকরা বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত করেছে তাতেও স্বাধীনতার ঘোষনার ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারো নাম নেই। অথচ আমাদের দেশে এখনও বিকৃতি করছে, যা দুঃখের।

এই গবেষকরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্বাস করতেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা কখনও জনবিচ্ছিন্ন হয় না। সেই আত্মবিশ্বাসের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে এবং তাঁরই নামে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বর্বর পাকিস্তানী শাসকদের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বাঙালি জাতি।