ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সৌদির উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের পর বাড়ল তেলের দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী এশিয়ার শেয়ারগুলোর দাম আজ সোমবার বেড়েছে। অন্যদিকে জুলাইয়ে তেলের উৎপাদন কমানোর সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের পর বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ সোমবার ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১ দশমিক ৮২ ডলার বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৭ দশমিক ৯৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেল ১ দশমিক ৭৭ ডলার বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ৫১ ডলার হয়েছে।

সম্প্রতি তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, জুলাইয়ে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন উৎপাদন কমাবে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্তের পর রাতারাতি বেড়ে গেছে তেলের দাম।

অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ ব্যাংকের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিবেক ধর বলেছেন, তেলের দাম কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সৌদি আরব খুব কমই ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে হয়। বছরের শেষের দিকে তেলের বাজারে আরও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আমাদের ধারণা এ বছরের শেষের দিকে ব্রেন্ট তেল ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সারা বিশ্বে অপরিশেআধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জেআট ওপেক প্লাস। সৌদি আরব ওপেক প্লাসের অন্যতম সদস্য। ফলে সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে সেই প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।

আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীদের দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে সৌদি আরব তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার জাপানের নিক্কেইয়ের শেয়ার বেড়েছে ১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কসপির শেয়ার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে এস অ্যান্ড পির শেয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ এবং নাসদাকের শেয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

তবে গত শুক্রবার ডলারের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১০৪ দশমিক ১৬ ডলারে উন্নীত হয়েছিল। জাপানি ইয়েন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৩৯ দশমিক ৯৪ হয়েছিল। কিন্তু ইউরো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১ দশমিক শূন্য ৭ হয়েছিল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ডলার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে শূন্য দশমিক ৬৬ ডলার হয়েছে।

ডলারের দাম কীভাবে স্থির রাখা যায়, সে ব্যাপারে কৌশল নির্ধারণ করতে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ব্যংক অব কানাডা আগামী বুধবার বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ এককভাবে উৎপাদন করে থাকে। এর ফলে সৌদি আরবের এই ধরনের সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদির উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের পর বাড়ল তেলের দাম

আপডেট সময় : ১১:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী এশিয়ার শেয়ারগুলোর দাম আজ সোমবার বেড়েছে। অন্যদিকে জুলাইয়ে তেলের উৎপাদন কমানোর সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের পর বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ সোমবার ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১ দশমিক ৮২ ডলার বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৭ দশমিক ৯৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেল ১ দশমিক ৭৭ ডলার বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ৫১ ডলার হয়েছে।

সম্প্রতি তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, জুলাইয়ে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন উৎপাদন কমাবে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্তের পর রাতারাতি বেড়ে গেছে তেলের দাম।

অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ ব্যাংকের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিবেক ধর বলেছেন, তেলের দাম কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সৌদি আরব খুব কমই ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে হয়। বছরের শেষের দিকে তেলের বাজারে আরও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আমাদের ধারণা এ বছরের শেষের দিকে ব্রেন্ট তেল ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সারা বিশ্বে অপরিশেআধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জেআট ওপেক প্লাস। সৌদি আরব ওপেক প্লাসের অন্যতম সদস্য। ফলে সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে সেই প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।

আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীদের দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে সৌদি আরব তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার জাপানের নিক্কেইয়ের শেয়ার বেড়েছে ১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কসপির শেয়ার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে এস অ্যান্ড পির শেয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ এবং নাসদাকের শেয়ার কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

তবে গত শুক্রবার ডলারের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১০৪ দশমিক ১৬ ডলারে উন্নীত হয়েছিল। জাপানি ইয়েন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৩৯ দশমিক ৯৪ হয়েছিল। কিন্তু ইউরো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১ দশমিক শূন্য ৭ হয়েছিল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ডলার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে শূন্য দশমিক ৬৬ ডলার হয়েছে।

ডলারের দাম কীভাবে স্থির রাখা যায়, সে ব্যাপারে কৌশল নির্ধারণ করতে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ব্যংক অব কানাডা আগামী বুধবার বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ এককভাবে উৎপাদন করে থাকে। এর ফলে সৌদি আরবের এই ধরনের সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।