ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল যেন যোগ্যরাই পান: রাষ্ট্রপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এর আওতায় মন্ত্রণালয় বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষাসহ নানান ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় জি-টু-পি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার কর্মসূচি বিশ্বের কাছে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আশা করি, সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিরা যেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সবাই সচেষ্ট থাকবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় সমাজসেবা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি দুস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে তিনি দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সমধর্মী অন্যান্য কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে আরও বেশি আন্তরিক ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমি সম্ভাব্য বিশ্বমন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল যেন যোগ্যরাই পান: রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এর আওতায় মন্ত্রণালয় বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষাসহ নানান ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় জি-টু-পি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার কর্মসূচি বিশ্বের কাছে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আশা করি, সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিরা যেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সবাই সচেষ্ট থাকবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় সমাজসেবা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি দুস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে তিনি দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সমধর্মী অন্যান্য কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে আরও বেশি আন্তরিক ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমি সম্ভাব্য বিশ্বমন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।