সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরির মামলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানীর দাখিল করা নারাজির আবেদন মঞ্জুর করেন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
শুনানিকালে আসামি রোজিনা ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ গত বছরের ১১ অক্টোবর রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেদিন রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়। দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
মামলায় তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরি ও ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়। এতে একমাত্র আসামি ছিলেন রোজিনা ইসলাম। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই বছর ২৩ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন।