ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের মারপিট : আহত-৪

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের মারপিট

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি  :

পাবনার সাঁথিয়ায় বনগ্রাম সমশের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অফিস চলাকালীন সময়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের মারপিট ও গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সময় হামলাকারিরা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকিসহ অফিসের চেয়ারটেবিল ভাংচুর করে এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। হামলায় খাদিজা খাতুন(৩০), মুন্নি খাতুন (২৫), আবু আল সাইদ(৩৫) হারুন অর রশিদ নামে ৪ জন আহত হয়। আহত খাদিজা খাতুন ও মুন্নি খাতুনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আতাইকুলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আর ১০/১১ জনকে আসামী করে আতাইকুলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার (১ জানুয়ারী) বই উৎসবের কার্যক্রম চলা অবস্থায় বামনডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল, নিশান আলী, ইসহাক আলী, ইমরুল আলী, পার্শ্ববর্তী রসুলপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ, জাকির হোসেন, মনজেল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১১জন লোক জোরপূর্বক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে শিক্ষকদের মারপিট ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় প্রতিবাদ করলে শিক্ষক,পরিচালক, সাংবাদিকসহ সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। আতাইকুৃলা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে খবর পেয়ে র‌্যাব-১২ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে সমশের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আমি অভিযুক্ত নিশানদের জমি দশ বছরের জন্য চুক্তিনামা করে লিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠান করেছি। কিন্ত তারা দুই বছর না যেতেই আমাকে ভাড়া বারানোর জন্য চাপ দেয় এবং জমি থেকে প্রতষ্ঠান সরিয়ে নিতে বলে। আমি এতে রাজি না হলে গতকাল রোববার (১ জানুয়ারী) তারা আমার প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণকালে সন্ত্রাসী কায়দায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও শিক্ষকদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং অবরুদ্ধ করে রাখে।

শিক্ষকদের মারধর করার ব্যাপারে অভিযুক্ত নিশান বলেন,আমরা যেটা করার করেছি,যেটা হওয়ার হয়েছে । এ বিষয়ে আপনার সাথে কোন কথা বলতে চাচ্ছিনা। দাম্ভিকতার সাথে বলেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে কোন কথা নাই,পরবর্তীতে ফোন না দেওয়াই ভালো।

এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ওদের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অভিযোগ অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের মারপিট : আহত-৪

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি  :

পাবনার সাঁথিয়ায় বনগ্রাম সমশের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অফিস চলাকালীন সময়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের মারপিট ও গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সময় হামলাকারিরা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকিসহ অফিসের চেয়ারটেবিল ভাংচুর করে এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। হামলায় খাদিজা খাতুন(৩০), মুন্নি খাতুন (২৫), আবু আল সাইদ(৩৫) হারুন অর রশিদ নামে ৪ জন আহত হয়। আহত খাদিজা খাতুন ও মুন্নি খাতুনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আতাইকুলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আর ১০/১১ জনকে আসামী করে আতাইকুলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার (১ জানুয়ারী) বই উৎসবের কার্যক্রম চলা অবস্থায় বামনডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল, নিশান আলী, ইসহাক আলী, ইমরুল আলী, পার্শ্ববর্তী রসুলপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ, জাকির হোসেন, মনজেল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১১জন লোক জোরপূর্বক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে শিক্ষকদের মারপিট ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় প্রতিবাদ করলে শিক্ষক,পরিচালক, সাংবাদিকসহ সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। আতাইকুৃলা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে খবর পেয়ে র‌্যাব-১২ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে সমশের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আমি অভিযুক্ত নিশানদের জমি দশ বছরের জন্য চুক্তিনামা করে লিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠান করেছি। কিন্ত তারা দুই বছর না যেতেই আমাকে ভাড়া বারানোর জন্য চাপ দেয় এবং জমি থেকে প্রতষ্ঠান সরিয়ে নিতে বলে। আমি এতে রাজি না হলে গতকাল রোববার (১ জানুয়ারী) তারা আমার প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণকালে সন্ত্রাসী কায়দায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও শিক্ষকদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং অবরুদ্ধ করে রাখে।

শিক্ষকদের মারধর করার ব্যাপারে অভিযুক্ত নিশান বলেন,আমরা যেটা করার করেছি,যেটা হওয়ার হয়েছে । এ বিষয়ে আপনার সাথে কোন কথা বলতে চাচ্ছিনা। দাম্ভিকতার সাথে বলেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে কোন কথা নাই,পরবর্তীতে ফোন না দেওয়াই ভালো।

এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ওদের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অভিযোগ অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।