সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে চায় বিএনপি: কামরুল ইসলাম
- আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও জামায়াত এবং তাদের সমমনা কিছু দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা নির্বাচন কমিশনকে মানে না। তারা বাংলাদেশে অনির্বাচিত সরকার আনতে চায়। বিএনপি সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, আপনারা (বিএনপি) অহেতুক খেলায় নেমেছেন। এই খেলায় কোনোদিন সফলতা পাবেন না। ‘নির্বাচন হতে দেবো না’ এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, ফ্যাসিস্ট কায়দার বক্তব্য পরিহার করুন। আপনারা ২০১৪ সালেও এই ধরনের স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে পারেননি, নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, সে মুহূর্তে দেশকে পেছনের দিকে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে তারা।
বিএনপিকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় সরকার। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের একদিন আগেও এই সরকার পদত্যাগ করবে না। অহেতুক আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই।
মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে বারবার ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, পাকিস্তানি কায়দায় দেশকে চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল বিএনপি ও জামায়াত। বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান, মোশতাক, ফারুক গংরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সেই নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এখন থেকে। অন্যান্য দলও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়েত এবং তাদের সমমনা কিছু খুচরো পার্টি নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন। কোনও অবস্থাতেই নির্বাচনের একদিন আগেও শেখ হাসিনা ও সরকার পদত্যাগ করবে না। পূর্ণ মেয়াদ অতিবাহিত করবে এই সরকার। তাই আন্দোলন করে কোনও লাভ হবে না।
বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা নির্বাচন মানে না, সংবিধান মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে। যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজকে সংবিধানে নেই। এটা সংবিধানে সংযোজন করার আর কোনও সুযোগও নেই।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়াজ মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ করিম খানের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান, জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি নিজাম উদ্দিন তালুকদার, আওয়ামী পেশাজীবী লীগের সভাপতি অ্যাড. সেতু প্রমুখ।