ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংসদ নির্বাচন ব্যালটে করতে প্রস্তুতি নিতে হবে : ইসি রাশেদা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইভিএমের নতুন প্রকল্প পাশ না হলে ব্যালট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সেজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে করতে প্রস্তুতি নিতে হবে। ইভিএমের নতুন প্রকল্প সঠিক সময়ে হলে ভালো। তবে সেটি না হলে যা আছে তা নিয়েই নির্বাচন করা হবে।

রোববার (০৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্প পাশ না হলে ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ইভিএম প্রকল্প খুব একটা এগিয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আসলে খুব বেশি এগোয়নি। প্রকল্পের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব বলে আমরা বলেছিলাম। এক্ষেত্রে প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে বর্তমানে যা আছে তাই দিয়েই ভোটগ্রহণের আয়োজন করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়/সরকার) সঙ্গে কথা হয়নি। এটার রীতিও নেই। ইসি হয়তো সচিবালয়ের সঙ্গে কথা বলবে। আমাদের সক্ষমতা যা আছে তাই করব। আমার জানা মতে, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আমাদের সক্ষমতা আছে। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে জানি না।

তিনি আরও বলেন, ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারের কাছে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তাব এখনো পাস হয়নি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আরপিও বিল আকারে রেডি করছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাদের কাছে পাঠাবে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থানান্তর নিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা বসে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করবো। তবে এখনই কিছু বলবো না। নির্বাচন কমিশনে এনআইডি থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই।

ইসি রাশেদা বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তবে এটা নিয়ে যেন টানাহেঁচড়া না হয়, যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সেজন্য আমরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছি। পরে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ থাকার পক্ষে নয়। আমরা এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসবো। বসে তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। জিনিসটা যাতে সঠিক হয়, আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি এজন্যই প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসেছিলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি নিয়ে টানাহেঁচড়া যাতে না হয় বা গ্রহণযোগ্যতা পায় এজন্যই ওনাদের সঙ্গে বসা। আমরা আলোচনা করি, বসি, তারপর কতটা খারাপ-ভালো হবে বলতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংসদ নির্বাচন ব্যালটে করতে প্রস্তুতি নিতে হবে : ইসি রাশেদা

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইভিএমের নতুন প্রকল্প পাশ না হলে ব্যালট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সেজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে করতে প্রস্তুতি নিতে হবে। ইভিএমের নতুন প্রকল্প সঠিক সময়ে হলে ভালো। তবে সেটি না হলে যা আছে তা নিয়েই নির্বাচন করা হবে।

রোববার (০৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্প পাশ না হলে ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ইভিএম প্রকল্প খুব একটা এগিয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আসলে খুব বেশি এগোয়নি। প্রকল্পের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব বলে আমরা বলেছিলাম। এক্ষেত্রে প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে বর্তমানে যা আছে তাই দিয়েই ভোটগ্রহণের আয়োজন করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়/সরকার) সঙ্গে কথা হয়নি। এটার রীতিও নেই। ইসি হয়তো সচিবালয়ের সঙ্গে কথা বলবে। আমাদের সক্ষমতা যা আছে তাই করব। আমার জানা মতে, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আমাদের সক্ষমতা আছে। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে জানি না।

তিনি আরও বলেন, ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারের কাছে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তাব এখনো পাস হয়নি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আরপিও বিল আকারে রেডি করছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাদের কাছে পাঠাবে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থানান্তর নিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা বসে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করবো। তবে এখনই কিছু বলবো না। নির্বাচন কমিশনে এনআইডি থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই।

ইসি রাশেদা বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তবে এটা নিয়ে যেন টানাহেঁচড়া না হয়, যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সেজন্য আমরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছি। পরে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ থাকার পক্ষে নয়। আমরা এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসবো। বসে তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। জিনিসটা যাতে সঠিক হয়, আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি এজন্যই প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসেছিলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি নিয়ে টানাহেঁচড়া যাতে না হয় বা গ্রহণযোগ্যতা পায় এজন্যই ওনাদের সঙ্গে বসা। আমরা আলোচনা করি, বসি, তারপর কতটা খারাপ-ভালো হবে বলতে পারবো।