মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে মৃত মাহফুজ বেপারীর (৯০) লাশ নিজ এলাকা উপজেলার কাঠালবাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঘড়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৫৮৪৮ দাগের ৭০ শতাংশ জায়গায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। এই দাগের পেছনে ইতালী প্রবাসী আক্তার হোসেনের বাড়ি। তিনি প্রবাসে থাকলেও তার পরিবারের জন্য পাঁকা ভবন তৈরি করেছেন। কিন্তু আক্তার হোসেনের পরিবারের চলাচলের জন্য ওই সরকারী জায়গায় সরু রাস্তা রেখে দুই পাশে ঘর তুলে রেখেছেন আমির হোসেন ও আব্দুর রব। এই সরু রাস্তার কারণে আক্তার

হোসেনের বাবা মাহফুজ বেপারীর লাশ তার বাড়িতে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে লাশ গোসল করানো হচ্ছে। সেখান থেকেই দাফনের জন্য কবর স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালি থেকে আক্তার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, বাবার লাশ বাড়িতে নিতে না পারা সন্তানের জন্য কত কষ্টের তা বলে বুঝাতে পারবো না। রাস্তাটির জন্য বাবা ঠিকমত মসজিদে যেতে পারতেন না। সামান্য বৃষ্টি হলেই সরু রাস্তাটি চলাচলের অনুপুযুক্ত হয়ে যায়। ঘর দুটি সরিয়ে কয়েক ফুট জায়গা ছেড়ে দিলেই আমার বাবার লাশ বাড়িতে নিতে পারতাম। এর জন্য আমি বাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেও কোন সুফল পাইনি। অথচ পুরো ৭০ শতাংশ জায়গাই সরকারী।

ঘর তুলে রাস্তা সরু করে রাখা দখলদারদের একজন জানান, ঘর সরিয়ে নেয়ার কোন জায়গা না থাকায় তা সরানো সম্ভব নয়।

এই ব্যাপারে জানার জন্য বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিলের কাছে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা কেটে দেন।