ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন শিক্ষাক্রমে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে। দ্রুত চাকরি পেতে হলে কারিগরি শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দীপু মনি।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কেউ কারিগরি থেকে শিক্ষা শেষ করার পর অনার্স-মাস্টার্স করতে চায়, সেটার সুযোগ রেখেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এমন মানুষ গড়ে তোলাই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ।

দীপু মনি বলেন, আগামী দিনে আমরা জেলায় জেলায় বোমাবাজি চাই না। ১০০ সেতু ও রাস্তার উদ্বোধন চাই। হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন চাই না। দেশকে এগিয়ে নেয়া যদি দেশপ্রেম হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে আগামীবার ভোট দেয়াও দেশপ্রেম হবে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে, সৎ ও মানবিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর জীবন যেন শেখ রাসেলের জীবন না হয়। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

চলতি বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া নতুন বইগুলোকে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ২৩, ২৪ ও ২৫ সাল এই তিন বছর মিলে নতুন শিক্ষা-কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে এ বছর যে বইগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা-কার্যক্রমে যেতে হলে সেটি কিন্তু অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা এখনও সেই স্টেজের মধ্যেই আছি। গত বছর সারা দেশের ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা এগুলো (এ বছরের দেওয়া নতুন বই) চালনা করেছি। সেখাকার অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। কিন্তু তারপরেও এবছর আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানে (৩৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে) আমরা পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে নতুন এই বইগুলো দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, শিক্ষকদের কাছ থেকে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব এবং সাড়া বছর এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করবো। কাজেই এবার ষষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো দেওয়া হয়েছে সেই বইয়ে ভুল থাকতে পারে, বইগুলোতে যে বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেখানে কারো কারো অস্বস্তি থাকতে পারে, আপত্তি থাকতে পারে। আপনারা সেগুলো আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আগামী বছর সেগুলো সংশোধন করবো এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করবো।

তিনি বলেন, আমরা মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণের বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব এবং সে অনুযায়ী বছরব্যাপী আমরা এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করব।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ণ করেছি। কারণ এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যেটি আমাদেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। সেখানে ১৭টি যে গোল বা লক্ষ্য রয়েছে তার ৪নং লক্ষ্য শিক্ষা হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে। সেই শিক্ষার যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, সেই শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী শিক্ষা করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় তাহলে বাকি যে ১৬ টি গোল বা লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যা কথা বলেন তা রাখেন। বঙ্গবন্ধু যেমন করতেন তার কন্যাও তেমন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ করবেন বলেছেন করেছেন, আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের কথা তিনি বলেছেন। এবং সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। সেজন্য আমাদের শিক্ষায় এই পরিবর্তনটা আনতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব ও সম্মান দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথে যে বাধা আমরা তা নিরসনে কাজ করছি। আমরা মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়গুলো যেমন ভালোভাবে শিখবে তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষাও নিবে। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার শিক্ষার্থীদের থেকে দু’শো নাম্বার বেশিতে পরীক্ষা দেয়। নতুন শিক্ষাক্রমে তা সমানে নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন শিক্ষাক্রমে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে। দ্রুত চাকরি পেতে হলে কারিগরি শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দীপু মনি।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কেউ কারিগরি থেকে শিক্ষা শেষ করার পর অনার্স-মাস্টার্স করতে চায়, সেটার সুযোগ রেখেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এমন মানুষ গড়ে তোলাই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ।

দীপু মনি বলেন, আগামী দিনে আমরা জেলায় জেলায় বোমাবাজি চাই না। ১০০ সেতু ও রাস্তার উদ্বোধন চাই। হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন চাই না। দেশকে এগিয়ে নেয়া যদি দেশপ্রেম হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে আগামীবার ভোট দেয়াও দেশপ্রেম হবে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে, সৎ ও মানবিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর জীবন যেন শেখ রাসেলের জীবন না হয়। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

চলতি বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া নতুন বইগুলোকে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ২৩, ২৪ ও ২৫ সাল এই তিন বছর মিলে নতুন শিক্ষা-কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে এ বছর যে বইগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা-কার্যক্রমে যেতে হলে সেটি কিন্তু অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা এখনও সেই স্টেজের মধ্যেই আছি। গত বছর সারা দেশের ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা এগুলো (এ বছরের দেওয়া নতুন বই) চালনা করেছি। সেখাকার অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। কিন্তু তারপরেও এবছর আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানে (৩৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে) আমরা পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে নতুন এই বইগুলো দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, শিক্ষকদের কাছ থেকে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব এবং সাড়া বছর এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করবো। কাজেই এবার ষষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো দেওয়া হয়েছে সেই বইয়ে ভুল থাকতে পারে, বইগুলোতে যে বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেখানে কারো কারো অস্বস্তি থাকতে পারে, আপত্তি থাকতে পারে। আপনারা সেগুলো আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আগামী বছর সেগুলো সংশোধন করবো এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করবো।

তিনি বলেন, আমরা মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণের বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিব এবং সে অনুযায়ী বছরব্যাপী আমরা এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করব।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ণ করেছি। কারণ এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যেটি আমাদেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। সেখানে ১৭টি যে গোল বা লক্ষ্য রয়েছে তার ৪নং লক্ষ্য শিক্ষা হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে। সেই শিক্ষার যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, সেই শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী শিক্ষা করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় তাহলে বাকি যে ১৬ টি গোল বা লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যা কথা বলেন তা রাখেন। বঙ্গবন্ধু যেমন করতেন তার কন্যাও তেমন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ করবেন বলেছেন করেছেন, আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের কথা তিনি বলেছেন। এবং সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। সেজন্য আমাদের শিক্ষায় এই পরিবর্তনটা আনতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব ও সম্মান দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথে যে বাধা আমরা তা নিরসনে কাজ করছি। আমরা মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়গুলো যেমন ভালোভাবে শিখবে তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষাও নিবে। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার শিক্ষার্থীদের থেকে দু’শো নাম্বার বেশিতে পরীক্ষা দেয়। নতুন শিক্ষাক্রমে তা সমানে নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।