ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাহজাদপুরে ধর্ম মামা কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া ভাগিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জহুরুল ইসলাম :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেলিম হোসেন (৩১) নামের এক যুবকের বিকৃত যৌনাচারের শিকার গুরু-ছাগলের পর এবার ধর্ম বোনের চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৬ অক্টোবর ) বিকেলে ভূক্তভোগীর বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর এদিন সন্ধ্যায় এএসপি (শাহজাদপুর সার্কেল ) হাসিবুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনজুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি বাজার পাড়া গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে ৩ সন্তানের জনক সেলিম হোসেন (৩১) মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে প্রতিবেশি এবং তার ধর্ম বোনের স্বামী বেলাল হোসেনের বাড়িতে যায়। বেলাল ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় লম্পট সেলিম বেলালের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ভূক্তভোগীর বড় ভাই অনার্স পড়ুয়া মোনায়েম হোসেন বোনকে লম্পটের নিকট থেকে উদ্ধার করে ও লম্পট সেলিমকে মারধর করতে লাগলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে সেলিমের খালা আখলিমা খাতুন ও স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সেলিমকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগির বাবা বেলাল হোসেন গ্রাম্য প্রধানদের শরণাপন্ন হলে কোন বিচার না পেয়ে বুধবার বিকেলে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে লম্পট সেলিমের প্রতিবেশি আঞ্জুয়ারা খাতুন, নাজমা বেগম এবং হবিবর জানান, ইতিপূর্বে লম্পট সেলিম প্রতিবেশির গরু ছাগলের সাথেও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয় এবং তার এমন কান্ডে একটি ছাগলও মারা যায়। কিন্তু সেলিম এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এই ছোট্ট মেয়েটিও তার কুৎসিত লালসার শিকার হলো। অথচ ভূক্তভোগি মেয়েটি লম্পট সেলিমের সম্পর্কে ভাগনি হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, সেলিমকে মারধর করার সময় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেলিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে আনিত ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার এসআই মনজুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনা সত্য বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি আরও ভালো করে জানার জন্য অধিকতর তদন্ত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে ধর্ম মামা কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া ভাগিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

জহুরুল ইসলাম :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেলিম হোসেন (৩১) নামের এক যুবকের বিকৃত যৌনাচারের শিকার গুরু-ছাগলের পর এবার ধর্ম বোনের চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৬ অক্টোবর ) বিকেলে ভূক্তভোগীর বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর এদিন সন্ধ্যায় এএসপি (শাহজাদপুর সার্কেল ) হাসিবুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনজুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি বাজার পাড়া গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে ৩ সন্তানের জনক সেলিম হোসেন (৩১) মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে প্রতিবেশি এবং তার ধর্ম বোনের স্বামী বেলাল হোসেনের বাড়িতে যায়। বেলাল ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় লম্পট সেলিম বেলালের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ভূক্তভোগীর বড় ভাই অনার্স পড়ুয়া মোনায়েম হোসেন বোনকে লম্পটের নিকট থেকে উদ্ধার করে ও লম্পট সেলিমকে মারধর করতে লাগলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে সেলিমের খালা আখলিমা খাতুন ও স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সেলিমকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগির বাবা বেলাল হোসেন গ্রাম্য প্রধানদের শরণাপন্ন হলে কোন বিচার না পেয়ে বুধবার বিকেলে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে লম্পট সেলিমের প্রতিবেশি আঞ্জুয়ারা খাতুন, নাজমা বেগম এবং হবিবর জানান, ইতিপূর্বে লম্পট সেলিম প্রতিবেশির গরু ছাগলের সাথেও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয় এবং তার এমন কান্ডে একটি ছাগলও মারা যায়। কিন্তু সেলিম এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এই ছোট্ট মেয়েটিও তার কুৎসিত লালসার শিকার হলো। অথচ ভূক্তভোগি মেয়েটি লম্পট সেলিমের সম্পর্কে ভাগনি হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, সেলিমকে মারধর করার সময় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেলিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে আনিত ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার এসআই মনজুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনা সত্য বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি আরও ভালো করে জানার জন্য অধিকতর তদন্ত করা হবে।