ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শত বছর পূর্ণ করলেন হেনরি কিসিঞ্জার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে বেশ আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুঁড়ি আখ্যা দিয়ে আলোচনায় আসেন। হেনরি কিসিঞ্জারের বয়স শনিবার (২৭ মে) ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে। মার্কিন কূটনীতির সমার্থক হিসেবে বিবেচিত কিসিঞ্জার শতবর্ষ পূর্ণ করায় দেশটির অভিজাত মহলে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়।

তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধ-সংঘাতের ‘কারিগর’ কিসিঞ্জারকে কখনো সেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি—এ নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

শতবর্ষ পূর্ণ করার মুহূর্তটি কিসিঞ্জার উদ্‌যাপন করেন নিউইয়র্কের ইকোনমিক ক্লাবে। সেখানে জন্মদিনের কেকের ওপর জ্বালানো মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভান তিনি।

১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে জন্ম কিসিঞ্জারের। পরে তাঁর পরিবার পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যায়। ওই শহরেই বেড়ে ওঠেন কিসিঞ্জার।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বৈরিতা কমিয়েছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।

তবে অনেকেই কিসিঞ্জারের নানা বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাঁকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিযুক্ত করে থাকেন।

কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৭৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখেন কিসিঞ্জার।

নিউজটি শেয়ার করুন

শত বছর পূর্ণ করলেন হেনরি কিসিঞ্জার

আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে বেশ আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুঁড়ি আখ্যা দিয়ে আলোচনায় আসেন। হেনরি কিসিঞ্জারের বয়স শনিবার (২৭ মে) ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে। মার্কিন কূটনীতির সমার্থক হিসেবে বিবেচিত কিসিঞ্জার শতবর্ষ পূর্ণ করায় দেশটির অভিজাত মহলে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়।

তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধ-সংঘাতের ‘কারিগর’ কিসিঞ্জারকে কখনো সেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি—এ নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

শতবর্ষ পূর্ণ করার মুহূর্তটি কিসিঞ্জার উদ্‌যাপন করেন নিউইয়র্কের ইকোনমিক ক্লাবে। সেখানে জন্মদিনের কেকের ওপর জ্বালানো মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভান তিনি।

১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে জন্ম কিসিঞ্জারের। পরে তাঁর পরিবার পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যায়। ওই শহরেই বেড়ে ওঠেন কিসিঞ্জার।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বৈরিতা কমিয়েছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।

তবে অনেকেই কিসিঞ্জারের নানা বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাঁকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিযুক্ত করে থাকেন।

কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৭৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখেন কিসিঞ্জার।