ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লালমনিরহাটে সাথী ফসল চাষে সফল নারী উদ্যোক্তা রেহেনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সফল চাষি নারী উদ্যোক্তা রেহেনা ফেরদৌসি। তিনি ভুট্টা খেতের সাথে আলু চাষ করে বেশ সফল হয়েছেন। নারী হিসেবে সাথী ফসল চাষাবাদে তার এ সফলতা কৃষকদের মাঝে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ঘোনাবাড়ি গ্রামের স্নাতক পাস রেহেনা পাটগ্রাম টি.এন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব প্রধানের স্ত্রী। স্বামী চাকুরিতে ব্যস্ত থাকায় শুরু থেকে কৃষি জমি দেখভাল করেন তিনি। এলাকার অন্যান্য কৃষকদের তুলনায় তার দেখাশোনা করা ফসলি জমিতে ধান, ভুট্টা, আলুসহ সব ফসলেরই ফলন ভালো হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘোনাবাড়ি গ্রামের দেড় একর জমিতে দুরে‌্যাগ সহনশীল ভুট্টা খেতে কার্নিভাল আলুর চাষ। খেত হতে আলু তুলছেন ৫ জন নারী শ্রমিক। বর্তমান বাজারে আলু প্রতি মণ  ৬শ’ টাকা বাজার রয়েছে।  এতে হিসেব করে দেখা গেছে ৫শ’ মণের উর্দ্ধে আলু হয়েছে এ জমিতে।

রেহেনা ফেরদৌসি জানান, ‘দীর্ঘদিন হতে চাষাবাদ দেখাশোনায় কৃষি উপসহকারীদের সাথে পরামর্শ করে একই জমিতে সাথী ফসল চাষ করার উদ্যোগ নেই। গত বছরের ১৫ নভেম্বর কার্টিনাল আলুর বীজ রোপন করি। এর প্রায় ১ মাস পর দুরে‌্যাগ সহনশীল জাতের পালোয়ান ভুট্টা লাগাই। আলুর ফলন ব্যাপক ভালো হয়েছে। ১শ’ ১০ দিনের মধ্যে আলু তোলা হচ্ছে। একবছরে একই জমিতে আলু, ভুট্টা ও রোপা আমন ধান তিন ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। খরচ অনেক কম, মুনাফা বেশি।’

আব্দুল ওহাব প্রধান জানান, ‘দেড় একর জমিতে বেশ ভালো আলু উঠেছে। আলু চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। পাইকারী বাজার দরে আলু বিক্রি করা যাবে ৩ লাখ টাকা। কিছুদিন পর ভুট্টা তুলে ধান রোপন করা যাবে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনুর আলম সেলিম বলেন, ‘রেহেনা ফেরদৌসি কৃষি ও চাষাবাদের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। তার এ সাথী ফসল চাষাবাদের ব্যাপারে অনেক কৃষক আগ্রহী।’

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘আলু ও ভুট্টার সাথী ফসল চাষ এটা বেশ ভালো উদ্যোগ। নারী হিসেবে তিনি একজন ভালো ও সফল উদ্যোক্তা। সরকারি নির্দেশনায় আমরা কৃষকদেরকে সবসময় পরামর্শ ও সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’

বা/খ: এসআর।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

লালমনিরহাটে সাথী ফসল চাষে সফল নারী উদ্যোক্তা রেহেনা

আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সফল চাষি নারী উদ্যোক্তা রেহেনা ফেরদৌসি। তিনি ভুট্টা খেতের সাথে আলু চাষ করে বেশ সফল হয়েছেন। নারী হিসেবে সাথী ফসল চাষাবাদে তার এ সফলতা কৃষকদের মাঝে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের ঘোনাবাড়ি গ্রামের স্নাতক পাস রেহেনা পাটগ্রাম টি.এন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব প্রধানের স্ত্রী। স্বামী চাকুরিতে ব্যস্ত থাকায় শুরু থেকে কৃষি জমি দেখভাল করেন তিনি। এলাকার অন্যান্য কৃষকদের তুলনায় তার দেখাশোনা করা ফসলি জমিতে ধান, ভুট্টা, আলুসহ সব ফসলেরই ফলন ভালো হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘোনাবাড়ি গ্রামের দেড় একর জমিতে দুরে‌্যাগ সহনশীল ভুট্টা খেতে কার্নিভাল আলুর চাষ। খেত হতে আলু তুলছেন ৫ জন নারী শ্রমিক। বর্তমান বাজারে আলু প্রতি মণ  ৬শ’ টাকা বাজার রয়েছে।  এতে হিসেব করে দেখা গেছে ৫শ’ মণের উর্দ্ধে আলু হয়েছে এ জমিতে।

রেহেনা ফেরদৌসি জানান, ‘দীর্ঘদিন হতে চাষাবাদ দেখাশোনায় কৃষি উপসহকারীদের সাথে পরামর্শ করে একই জমিতে সাথী ফসল চাষ করার উদ্যোগ নেই। গত বছরের ১৫ নভেম্বর কার্টিনাল আলুর বীজ রোপন করি। এর প্রায় ১ মাস পর দুরে‌্যাগ সহনশীল জাতের পালোয়ান ভুট্টা লাগাই। আলুর ফলন ব্যাপক ভালো হয়েছে। ১শ’ ১০ দিনের মধ্যে আলু তোলা হচ্ছে। একবছরে একই জমিতে আলু, ভুট্টা ও রোপা আমন ধান তিন ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। খরচ অনেক কম, মুনাফা বেশি।’

আব্দুল ওহাব প্রধান জানান, ‘দেড় একর জমিতে বেশ ভালো আলু উঠেছে। আলু চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। পাইকারী বাজার দরে আলু বিক্রি করা যাবে ৩ লাখ টাকা। কিছুদিন পর ভুট্টা তুলে ধান রোপন করা যাবে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনুর আলম সেলিম বলেন, ‘রেহেনা ফেরদৌসি কৃষি ও চাষাবাদের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। তার এ সাথী ফসল চাষাবাদের ব্যাপারে অনেক কৃষক আগ্রহী।’

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘আলু ও ভুট্টার সাথী ফসল চাষ এটা বেশ ভালো উদ্যোগ। নারী হিসেবে তিনি একজন ভালো ও সফল উদ্যোক্তা। সরকারি নির্দেশনায় আমরা কৃষকদেরকে সবসময় পরামর্শ ও সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’

বা/খ: এসআর।