লাগামহীন চিনি, ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন-আদার
- আপডেট সময় : ০৩:০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সাত মাসে ছয় বার চিনির দাম সরকার বেঁধে দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। চড়া ভোজ্যতেলের দামও। আর সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজিতে ১০ টাকারও বেশি বেড়েছে পেঁয়াজ , রসুন ও আদার দাম।
সাধারণ পণ্যের দাম কমলে বাজারে তার সরবরাহ আসতে বেশ সময় লাগে। কিন্তু বাড়লে তার উল্টো। বরং ঘোষণার আগেই সরবরাহ চলে আসে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিনি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পরপরই নতুন দামের চিনির চালান আসে রাজধানীর বাজারগুলোতে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। আর খোলা চিনির কেজি ১৩০ টাকা। কেন দাম মানা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন ছিল বিক্রেতাদের কাছে।
এদিকে বাজারে সব দোকানে সয়াবিন তেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা। স্বস্তি মিলছে না আলু, পেঁয়াজের বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা।
শুক্রবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ৮০, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। অন্যদিকে জালি কুমড়া কুমড়া পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে আসা গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে এসে দেখা যাচ্ছে সবজি কেনার উপায় নেই। এত দাম দেখে আধা কেজি, আড়াইশ গ্রাম করে সবজি কেনা লাগছে। যেই সবজির দাম করছি সেটা ৮০ টাকা, কম দামে কোনো সবজি নেই বাজারে। এত দাম হলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ তো সবজিও কিনতে পারবো না।
মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সবজি দাম কিছুদিন ধরে বাড়তি যাচ্ছে। দাম বাড়তির কারণে আগের চেয়ে সবজি বিক্রিও কমে গেছে আমাদের। আগে যেখানে একজন ক্রেতা এক আইটেম এক কেজি নিত এখন সেখানে আধা কেজি নিচ্ছে। যে কারণে সব বাজারে সব দোকানেই সবজি বিক্রি অনেক কমেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষও তুলনামূলক কম করে সবজি কিনছে।
অন্যদিকে, মাংস ও ডিমের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। অপরদিকে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি ২২০ টাকা, চাষের রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। দেশি প্রজাতির মাছ শিং, টেংরা ও বোয়ালের দাম কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে ইলিশ মাছের কেজি এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।