ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লঘুচাপটি রূপ নিল নিম্নচাপে, বন্দরে সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এটি পরদিন ২৬ মে (রোববার) সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকবে বলে জানায় সংস্থাটি। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের ওড়িশা অথবা বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শামীম হাসান বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে বলা হয়েছে। কারণ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও সাগর উত্তাল রয়েছে।

‘এটি আজ (২৪ মে, ২০২৪) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।’

নিম্নচাপ কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।’

জানা গেছে, ‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।

২০২০ সালে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। সেখান থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম নেওয়া হবে। যখন এই ঘোষণা আসবে তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ নিম্নচাপটিকে ‍ঘূর্ণিঝড় রেমাল হিসেবে অভিহিত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

লঘুচাপটি রূপ নিল নিম্নচাপে, বন্দরে সতর্কতা জারি

আপডেট সময় : ১২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এটি পরদিন ২৬ মে (রোববার) সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকবে বলে জানায় সংস্থাটি। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের ওড়িশা অথবা বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শামীম হাসান বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে বলা হয়েছে। কারণ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও সাগর উত্তাল রয়েছে।

‘এটি আজ (২৪ মে, ২০২৪) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।’

নিম্নচাপ কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।’

জানা গেছে, ‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।

২০২০ সালে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। সেখান থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম নেওয়া হবে। যখন এই ঘোষণা আসবে তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ নিম্নচাপটিকে ‍ঘূর্ণিঝড় রেমাল হিসেবে অভিহিত করা হবে।