রোজার জন্য ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ
- আপডেট সময় : ০৯:০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রমজান মাসে যেন খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি না পড়ে সেজন্য ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ।
রোজায় ব্যবহৃত যে সব পণ্য বাকিতে আমদানিতে করা যাবে সেগুলো হলো : ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই সুবিধা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া এ ব্যবস্থা আসন্ন রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের যোগান নিশ্চিত করবে। ডলার সঙ্কটের কারণে এসব পণ্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে যেসব অনিশ্চয়তা তা কেটে গেলো।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ সকল পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তখন রফতানিকারকরা বলেছিলেন, এসব পণ্য আমদানিতে আমদানিকারক কোনো নগদ মার্জিন দেন না। মার্জিন কার্যকর আছে শুধু বিলাসী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে। এরপর মঙ্গলবার নতুন এ নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কমিয়ে আনতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের কারণে এলসি খোলা কমেছে। গত বছরে প্রতিমাসে এলসি নিস্পত্তি যেখানে ৮ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল, তা গত নভেম্বরে ৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। আর নতুন এলসি খোলার হার ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আগামী জানুয়ারি নাগাদ এলসি খোলা ও নিস্পত্তির হার আগের পর্যায়ে চলে আসবে।