ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের সুবাদে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত সোমবার (৪ মার্চ) রিজার্ভ ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তবে আসছে সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটিও গ্রস রিজার্ভ বাড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সাথে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের অর্থ যেখান থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এভাবে ধরে রাখাটা কতদিন সম্ভব হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কারেন্সি সোয়াপের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন থেকেই পদ্ধতিটি রিজার্ভে অবদান রাখতে শুরু করেছে।

মুদ্রার অদলবদলের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট) থেকে ডলার বিনিময় করছে, যার সুবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রস রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছে।

মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে যে ডলার আসবে, তা নিট রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে না। কেননা মুদ্রার অদলবদল হয় স্বল্প মেয়াদে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

তারল্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের সুবাদে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত সোমবার (৪ মার্চ) রিজার্ভ ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তবে আসছে সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটিও গ্রস রিজার্ভ বাড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সাথে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের অর্থ যেখান থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এভাবে ধরে রাখাটা কতদিন সম্ভব হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কারেন্সি সোয়াপের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন থেকেই পদ্ধতিটি রিজার্ভে অবদান রাখতে শুরু করেছে।

মুদ্রার অদলবদলের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট) থেকে ডলার বিনিময় করছে, যার সুবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রস রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছে।

মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে যে ডলার আসবে, তা নিট রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে না। কেননা মুদ্রার অদলবদল হয় স্বল্প মেয়াদে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

তারল্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।