ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রিজার্ভ আপনারা চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
পায়রা বন্দর উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বিরোধীরা অর্থাৎ বিএনপি বলে, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? তিনি উত্তর দিয়েছেন- রিজার্ভের টাকা কী চিবিয়ে খায়? চিবিয়ে তো খান নাই, গিলে ফেলেছেন। রিজার্ভের টাকা আপনারা গিলে ফেলেছেন। বলেছেন- পায়রা বন্দরে খরচ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য রিজার্ভের টাকা না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফখরুল বলেন, রিজার্ভের টাকা হচ্ছে আপনি যখন বাইর থেকে যেসমস্ত পণ্য আমদানি করবেন সেই টাকা ডলারে পরিশোধ করবেন। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে দেশে যখন অর্থনৈতিক ক্রাসিস দেখা দেবে তখন আপনি এখান থেকে তার ব্যবস্থা করবেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পায়রা বন্দর কার্যকর হতে পারে না। কারণ? যে নাব্যতা দরকার, যে পানির দরকার সেই গভীরতা সেখানে নাই। সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেখানে আবার চুরির ব্যবস্থা করে আপনারা সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন।

‘দুই-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবখানা এমন যে, ক্ষমতায় এসেই গেছে!’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করেছি তিনটি সমাবেশ করে আপনাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে, কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন।

লজ্জা করে না আপনাদের, কী নির্লজ্জ আপনারা, কাপুরুষ আপনারা! বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটোয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের শোডাউন করে যুবদল। সমাবেশের বিস্তৃতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল, কাকরাইল, পল্টন, বিজয়নগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে, সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন? যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়।

মুন্সীগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতাদের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আজকে গুলি করে দমন করতে চায়। তারা আজকে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে দমন করতে চায়।

দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপি মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের পূর্বে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের সামনে অনেক কঠিন সময়, আমাদের সামনে অনেক পরীক্ষা, আমাদের সামনে অনেক যুদ্ধ। আজকে যে চেয়ারটি খালি রাখা হয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য; দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তাঁর সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন গণতন্ত্রের জন্য। এখনো তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে বন্দী হয়ে রয়েছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে।

‘খেলা হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খেলা তখনই হয়, যখন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। খেলা তখন হবে যখন পদত্যাগ করবে সরকার থেকে এবং মধ্যবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেবে। তখন সেই নির্বাচনী খেলা হবে। এছাড়া কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ আর কখনো সেটা দেবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান বক্তব্য রাখেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রিজার্ভ আপনারা চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
পায়রা বন্দর উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বিরোধীরা অর্থাৎ বিএনপি বলে, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? তিনি উত্তর দিয়েছেন- রিজার্ভের টাকা কী চিবিয়ে খায়? চিবিয়ে তো খান নাই, গিলে ফেলেছেন। রিজার্ভের টাকা আপনারা গিলে ফেলেছেন। বলেছেন- পায়রা বন্দরে খরচ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য রিজার্ভের টাকা না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফখরুল বলেন, রিজার্ভের টাকা হচ্ছে আপনি যখন বাইর থেকে যেসমস্ত পণ্য আমদানি করবেন সেই টাকা ডলারে পরিশোধ করবেন। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে দেশে যখন অর্থনৈতিক ক্রাসিস দেখা দেবে তখন আপনি এখান থেকে তার ব্যবস্থা করবেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পায়রা বন্দর কার্যকর হতে পারে না। কারণ? যে নাব্যতা দরকার, যে পানির দরকার সেই গভীরতা সেখানে নাই। সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেখানে আবার চুরির ব্যবস্থা করে আপনারা সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন।

‘দুই-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবখানা এমন যে, ক্ষমতায় এসেই গেছে!’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করেছি তিনটি সমাবেশ করে আপনাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে, কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন।

লজ্জা করে না আপনাদের, কী নির্লজ্জ আপনারা, কাপুরুষ আপনারা! বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটোয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের শোডাউন করে যুবদল। সমাবেশের বিস্তৃতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল, কাকরাইল, পল্টন, বিজয়নগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে, সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন? যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়।

মুন্সীগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতাদের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আজকে গুলি করে দমন করতে চায়। তারা আজকে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে দমন করতে চায়।

দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপি মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের পূর্বে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের সামনে অনেক কঠিন সময়, আমাদের সামনে অনেক পরীক্ষা, আমাদের সামনে অনেক যুদ্ধ। আজকে যে চেয়ারটি খালি রাখা হয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য; দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তাঁর সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন গণতন্ত্রের জন্য। এখনো তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে বন্দী হয়ে রয়েছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে।

‘খেলা হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খেলা তখনই হয়, যখন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। খেলা তখন হবে যখন পদত্যাগ করবে সরকার থেকে এবং মধ্যবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেবে। তখন সেই নির্বাচনী খেলা হবে। এছাড়া কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ আর কখনো সেটা দেবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান বক্তব্য রাখেন।