ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজারহাটে ৩ মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন বিকল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

৩ লাখ জনসংখ্যার রাজারহাট উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন ৩ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে থাকায় চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে ৫১ শয্যা বিশিষ্ঠ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্সরে মেশিনটির রাউটার নষ্ট হওয়ায় বিকল হয়ে পরে। এরপর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিনামূল্যে এক্সরে সুবিধা থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া এই উপজেলায় বেসরকারি পর্যায়েও কোন এক্সরে মেশিন না থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ইপিআই টেশনিশিয়ান, পাঁঙ্গা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ১জন, চাকিরপশার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ কর্মকর্তা ১জন, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ কর্মকর্তা ১ জন, উমর মজিদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-১জন এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মেডিকেল অফিসার-১জন সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪০টিরও বেশি পদ শুন্য থাকায় মারাত্মক জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা স্থবির হয়ে পরেছে। বুধবার রাজারহাট উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে কুড়িগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে এক মত বিনিময় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জনবল সংকট নিরসনের দাবী জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আজিজার রহমান (৬২) জানান, বুক ব্যাথা, হাপানি, কাঁশিসহ নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। ডাঃ এক্সরে করাতে বলেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন বিকল এবং পকেটে টাকা না থাকায় বাইরে তার এক্সরে করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রাজারহাট সদরের বাসিন্দা আাতাউর রহমান বলেন, মোটর সাইকেল ড্রাইভ করতে গিয়ে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন না থাকায় এবং এই উপজেলায় বেসরকারি পর্যায়েও কোন এক্সরে মেশিন না থাকায় এক্সরের জন্য তাকে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হয়। এছাড়া একাধিকবার যোগযোগ করেও লাভ হয়নি। তবে এক্সরে মেশিন ভালো করার বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে, দ্রুতই এসমস্যা নিরসন হবে বলে জানান।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজারহাটে ৩ মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন বিকল

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

৩ লাখ জনসংখ্যার রাজারহাট উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন ৩ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে থাকায় চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে ৫১ শয্যা বিশিষ্ঠ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্সরে মেশিনটির রাউটার নষ্ট হওয়ায় বিকল হয়ে পরে। এরপর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিনামূল্যে এক্সরে সুবিধা থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া এই উপজেলায় বেসরকারি পর্যায়েও কোন এক্সরে মেশিন না থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ইপিআই টেশনিশিয়ান, পাঁঙ্গা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ১জন, চাকিরপশার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ কর্মকর্তা ১জন, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ কর্মকর্তা ১ জন, উমর মজিদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-১জন এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মেডিকেল অফিসার-১জন সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪০টিরও বেশি পদ শুন্য থাকায় মারাত্মক জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা স্থবির হয়ে পরেছে। বুধবার রাজারহাট উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে কুড়িগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে এক মত বিনিময় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জনবল সংকট নিরসনের দাবী জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আজিজার রহমান (৬২) জানান, বুক ব্যাথা, হাপানি, কাঁশিসহ নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। ডাঃ এক্সরে করাতে বলেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন বিকল এবং পকেটে টাকা না থাকায় বাইরে তার এক্সরে করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রাজারহাট সদরের বাসিন্দা আাতাউর রহমান বলেন, মোটর সাইকেল ড্রাইভ করতে গিয়ে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন না থাকায় এবং এই উপজেলায় বেসরকারি পর্যায়েও কোন এক্সরে মেশিন না থাকায় এক্সরের জন্য তাকে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হয়। এছাড়া একাধিকবার যোগযোগ করেও লাভ হয়নি। তবে এক্সরে মেশিন ভালো করার বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে, দ্রুতই এসমস্যা নিরসন হবে বলে জানান।

বা/খ: এসআর।