ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাছ ও চিনির দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজশাহী প্রতিনিধি : সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা যায় এ সপ্তাহে চিনি, নদীর ও বিলের মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশি চিনি বিক্রি ৯০ টাকা এবং রিফাইন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯১ টাকা কেজিতে।
চিনি কিনতে আসা আইসা বেগম জানান, `সবকিছু শেষে এবার চিনির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির দাম হঠাৎ কেজিতে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে কাহলে আমাদের সাধারন মানুষকে একসময় না খেয়ে থাকতে হবে। এ সপ্তাহে ৩ টাকা বেড়েছে সামনে সপ্তাহে এসে দেখবো আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবেই চলতে থাকবে আমাদের সাধারন মানুষের জীবন।’
চিনি বিক্রেতা আমজাদ জানান, `এ সপ্তাহে চিনির আমদানি কম তাই দামটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আসা করছি সামনে সপ্তাহের দিকে দাম আবার পূর্বের মূল্যে চলে আসবে।’
এ সপ্তাহে বাজারে নদীর, বিলসহ সব রকমের কার্প জাতীয় মাছের দাম ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিবর্তিত থেকে বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশী কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০, কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এছাড়া মিরকা মাছ ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে।
মাছ কিনতে আসা মিম জানান, `আমরা যে মাছে ভাতে বাঙ্গালি একথা এখন বলতে নিজেকে লজ্জা লাগে। প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বৃদ্ধি পায় এটা আর নতুন কি? প্রতি সপ্তাহে মাছ কিনতে আসি কোন সপ্তাহে শুনলামনা যে মাছের দাম কমেছে। আমরা আসলে অসহায় হয়ে পড়েছি। কিছু বলতে গেলে বলেন মাছের আমদানি কম। আমাদের আয় বাড়ছেনা কিন্তু সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে হয়তো মাছ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’
মাছ বিক্রেতা আইনাল জানান, `মাছের আমদানি কম থাকার কারনে দামটা বেশি। আমাদের প্রতিদিন যে পরিমানে মাছ প্রয়োজন তার এক অংশ পাচ্ছিনা তাহলে মাছের দামতো বাড়বেই। আর আমরা মাছ কিনছি বেশি দামে তাই বিক্রি করছি বেশি দামে।’
এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায় মুরগি, গরু ও খাশির মাংশের দাম গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, পূর্বের দামে সোনালী মরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে।
গত সপ্তাহের মূল্যে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে। দাম অপরিবর্তিত থেকে গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা ও খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজিতে।
এ সপ্তাহে সবজির বাজারে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। শুধু নতুন যেসব সবজি উঠেছে সেগুলোর দাম বেশি। পূর্বের মূল্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, আলু ২৫, ফুলকপি ৭০, পটল ৪০, শসা ৫০, কাঁচা মরিচ ১২০, টমেটো ১২০, গাজর ১৬০ ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া এ সপ্তাহে অন্যান্য মুদিপন্যের দ্রব্যের দাম পূর্বের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাছ ও চিনির দাম

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধি : সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা যায় এ সপ্তাহে চিনি, নদীর ও বিলের মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশি চিনি বিক্রি ৯০ টাকা এবং রিফাইন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯১ টাকা কেজিতে।
চিনি কিনতে আসা আইসা বেগম জানান, `সবকিছু শেষে এবার চিনির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির দাম হঠাৎ কেজিতে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে কাহলে আমাদের সাধারন মানুষকে একসময় না খেয়ে থাকতে হবে। এ সপ্তাহে ৩ টাকা বেড়েছে সামনে সপ্তাহে এসে দেখবো আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবেই চলতে থাকবে আমাদের সাধারন মানুষের জীবন।’
চিনি বিক্রেতা আমজাদ জানান, `এ সপ্তাহে চিনির আমদানি কম তাই দামটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আসা করছি সামনে সপ্তাহের দিকে দাম আবার পূর্বের মূল্যে চলে আসবে।’
এ সপ্তাহে বাজারে নদীর, বিলসহ সব রকমের কার্প জাতীয় মাছের দাম ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিবর্তিত থেকে বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশী কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০, কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এছাড়া মিরকা মাছ ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে।
মাছ কিনতে আসা মিম জানান, `আমরা যে মাছে ভাতে বাঙ্গালি একথা এখন বলতে নিজেকে লজ্জা লাগে। প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বৃদ্ধি পায় এটা আর নতুন কি? প্রতি সপ্তাহে মাছ কিনতে আসি কোন সপ্তাহে শুনলামনা যে মাছের দাম কমেছে। আমরা আসলে অসহায় হয়ে পড়েছি। কিছু বলতে গেলে বলেন মাছের আমদানি কম। আমাদের আয় বাড়ছেনা কিন্তু সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে হয়তো মাছ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’
মাছ বিক্রেতা আইনাল জানান, `মাছের আমদানি কম থাকার কারনে দামটা বেশি। আমাদের প্রতিদিন যে পরিমানে মাছ প্রয়োজন তার এক অংশ পাচ্ছিনা তাহলে মাছের দামতো বাড়বেই। আর আমরা মাছ কিনছি বেশি দামে তাই বিক্রি করছি বেশি দামে।’
এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায় মুরগি, গরু ও খাশির মাংশের দাম গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, পূর্বের দামে সোনালী মরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে।
গত সপ্তাহের মূল্যে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে। দাম অপরিবর্তিত থেকে গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা ও খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজিতে।
এ সপ্তাহে সবজির বাজারে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। শুধু নতুন যেসব সবজি উঠেছে সেগুলোর দাম বেশি। পূর্বের মূল্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, আলু ২৫, ফুলকপি ৭০, পটল ৪০, শসা ৫০, কাঁচা মরিচ ১২০, টমেটো ১২০, গাজর ১৬০ ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া এ সপ্তাহে অন্যান্য মুদিপন্যের দ্রব্যের দাম পূর্বের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।