রাজশাহী ব্যুরো অফিস : 

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহীর মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৪ বছরে দেশের মতো রাজশাহীও বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়ার পেছনে মূল অবদান শেখ হাসিনার। বৈপ্লবিক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ জনসভা। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে এটি। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি জামায়াতের সব অপতৎপরতা রুখে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। রাজশাহী জনসভায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইবেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বড়-বড় দেশগুলো পৃথিবীতে যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ায় আমাদের মতো ছোট-ছোট দেশগুলো সমস্যায় পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে দেশের হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বাংলাদেশের মানুষ সংকটের মধ্যেও ভালো আছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মাত্র ২১বছর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এই অল্প সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নে আর অর্জনে আজ বদলে গেছে রাজশাহী। এ নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহীর দলীয় জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে রূপকল্প’র ২০৪১ প্রসঙ্গে কথা বলবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ যেভাবে গড়েছেন। একইভাবে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশও গড়বেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী। আইএমএফের মতে, পৃথিবীতে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিএনপি নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু শ্রীলঙ্কার তুলনা করে বেড়ান। বাংলাদেশ নাকি এক মাসের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি। তাদের এক মাসেরও আমদানি ব্যয় মেটানোর ক্ষমতা নেই। কিন্তু বিএনপি নেতারা সে কথা একবারও বলেন না। তাদের কি লজ্জা করে?

মাঠ পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সএম কামাল হোসেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ জেলা ও মহানগর নেতারা।