ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজবন্দিদের মুক্ত করবে বিএনপি : গয়েশ্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার যা চায় আদালত তাই করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, সরকার যা চায় আদালত তাই করে। প্রচলিত আইন ও নিজেদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে তারা কিছুই করতে পারেন না। তাই রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি নয়, বিএনপিই তাদের মুক্ত করবে। জনগণ যখন কোনও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে তখন কোনও শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। পেছনে তাদের (সরকারের) শক্তি যতই থাকুক, সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের পকেটকাটা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের কোনো কাজ নেই। দেশ অন্ধাকার থেকে অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

মান-অভিমানের সংস্কৃতি থেকে ঢাকা জেলা বিএনপি বের হয়ে এসেছে জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, এটা বিএনপির আন্দোলনে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে।

গয়েশ্বর বলেন, আজ অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেওয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমারা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোনও কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু যে টাকাগুলো খরচ হয়েছে, সেই টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে?

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক যে অবস্থা এতে করে শেখ হাসিনার যদি ন্যূনতম মস্তিষ্ক ঠিক থাকতো তাহলে তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছেড়ে দিতেন। কারণ তার পক্ষে এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কঠিন। এরপরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে তাদেরও রাষ্ট্র পরিচালনা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। এই যে টাকাগুলো চলে গেল এই টাকা উদ্ধার করা,। যারা টাকাগুলো লুট করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা- এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ। এই অবস্থার মধ্যে আজকে দেশটা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

‘গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য দাবি নয়, তাদের মুক্ত করা হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার সকল আদালতকে এমনভাবে আয়ত্ত করেছে যে আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার দিয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই।

গয়েশ্বর বলেন, অনেকেই গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছেন। আমি বলব তাদের মুক্তির দাবি নয়, তাদেরকে মুক্ত করব। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, এছাড়া কারাগারে যেসব নেতা রয়েছেন তাদেরকেও মুক্ত করব। নাম জানা-অজানা অসংখ্য নেতা আটক রয়েছেন, তাদেরকেও মুক্ত করব।

আদালতের আচরণ আর গরিবের আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, কারণ সরকার সব আদালতকে আয়ত্ত করেছে। এমন ভাবে আয়ত্ত করা হয়েছে অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয় আদালত সেটাই করে। আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই।

তিনি বলেন, আজকে অন্যায়ভাবে বন্দী আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসংখ্য মামলায় আজকে বিচার পাচ্ছেন না। অবিচারের মধ্য দিয়ে তারা নির্যাতিত হচ্ছেন। এই সরকার লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার; জনগণের পকেটমার সরকার। অর্থাৎ জনগণের পকেট যদি না মারতো তাহলে ১০ লাখষ কোটি টাকা কী করে পাচার হলো? কী করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়? কীভাবে শেয়ার বাজারের টাকা উধাও হয়ে যায়? কী করে লাগামহীনভাবে দুর্নীতি হয়?

মানববন্ধনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা বেনজীর আহমেদ টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজবন্দিদের মুক্ত করবে বিএনপি : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার যা চায় আদালত তাই করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, সরকার যা চায় আদালত তাই করে। প্রচলিত আইন ও নিজেদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে তারা কিছুই করতে পারেন না। তাই রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি নয়, বিএনপিই তাদের মুক্ত করবে। জনগণ যখন কোনও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে তখন কোনও শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। পেছনে তাদের (সরকারের) শক্তি যতই থাকুক, সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের পকেটকাটা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের কোনো কাজ নেই। দেশ অন্ধাকার থেকে অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

মান-অভিমানের সংস্কৃতি থেকে ঢাকা জেলা বিএনপি বের হয়ে এসেছে জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, এটা বিএনপির আন্দোলনে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে।

গয়েশ্বর বলেন, আজ অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেওয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমারা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোনও কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু যে টাকাগুলো খরচ হয়েছে, সেই টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে?

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক যে অবস্থা এতে করে শেখ হাসিনার যদি ন্যূনতম মস্তিষ্ক ঠিক থাকতো তাহলে তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছেড়ে দিতেন। কারণ তার পক্ষে এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কঠিন। এরপরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে তাদেরও রাষ্ট্র পরিচালনা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। এই যে টাকাগুলো চলে গেল এই টাকা উদ্ধার করা,। যারা টাকাগুলো লুট করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা- এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ। এই অবস্থার মধ্যে আজকে দেশটা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

‘গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য দাবি নয়, তাদের মুক্ত করা হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার সকল আদালতকে এমনভাবে আয়ত্ত করেছে যে আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার দিয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই।

গয়েশ্বর বলেন, অনেকেই গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছেন। আমি বলব তাদের মুক্তির দাবি নয়, তাদেরকে মুক্ত করব। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, এছাড়া কারাগারে যেসব নেতা রয়েছেন তাদেরকেও মুক্ত করব। নাম জানা-অজানা অসংখ্য নেতা আটক রয়েছেন, তাদেরকেও মুক্ত করব।

আদালতের আচরণ আর গরিবের আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, কারণ সরকার সব আদালতকে আয়ত্ত করেছে। এমন ভাবে আয়ত্ত করা হয়েছে অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয় আদালত সেটাই করে। আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই।

তিনি বলেন, আজকে অন্যায়ভাবে বন্দী আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসংখ্য মামলায় আজকে বিচার পাচ্ছেন না। অবিচারের মধ্য দিয়ে তারা নির্যাতিত হচ্ছেন। এই সরকার লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার; জনগণের পকেটমার সরকার। অর্থাৎ জনগণের পকেট যদি না মারতো তাহলে ১০ লাখষ কোটি টাকা কী করে পাচার হলো? কী করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়? কীভাবে শেয়ার বাজারের টাকা উধাও হয়ে যায়? কী করে লাগামহীনভাবে দুর্নীতি হয়?

মানববন্ধনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা বেনজীর আহমেদ টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।