ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে: কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি-জে,পি’র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো-সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, অন্যথায় চরিত্রহীন হয়ে যাবে রাজনীতি। ভালো ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে। নষ্ট রাজনীতিবিদরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। আজ রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। রাজনীতিতে ভালো মানুষ নেই, আমরা রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে পারিনি। ভালো মানুষেরা, শিক্ষিত মানুষেরা, সৎ মানুষেরা রাজনীতির ধারে কাছে আসতে চান না। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের স্বীকার করতেই হবে। একই অবস্থা আমাদের ছাত্ররাজনীতির। এটি সুনামের ধারায় আসতে পারেনি।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, খারাপ লোকদের কাছে রাজনীতি গেলে দেশটা খারাপ হয়ে যাবে। খারাপ লোকের কাছে রাজনীতি থাকলে তারা এমপি হবে, মন্ত্রী হবে, দেশ চালাবে। ভালো লোকদের রাজনীতিতে আনতে হবে। সৎ লোকদের আনতে হবে। মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে। তা না হলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নষ্ট রাজনীতির কাছে বারবার আত্মসমর্পণ করি। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিবিদের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। এজন্য তো আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ সেই বাংলাদেশ কি আমরা রাখতে পেরেছি?

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পর তিন তিনবার কেউ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। যেটা আমার ভাগ্যে জুটেছে। আল্লাহর রহমত আর শেখ হাসিনার উছিলায়। আমার ১৭ বছরের মন্ত্রিত্ব, এটাও বিরল সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনবারের সাধারণ সম্পাদক সৌভাগ্যের ব্যাপার। উপরে আল্লাহ, নিচে শেখ হাসিনা; এত দূর পর্যন্ত আমাদের নিয়ে এসেছেন। এটা অস্বীকার করলে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হবে। এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, কোনো হত্যাকাণ্ডে অবলা নারী, অবলা শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টার্গেট করা হয়নি, যেটা হয়েছিল ১৯৭৫-এ। সেই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ উল্টোপথে যাত্রা শুরু করল। বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব হয়ে গেল। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত হলো।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগামী জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে।

এ সময় জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে ১৪ দলের জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পাটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে: কাদের

আপডেট সময় : ০৩:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি-জে,পি’র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো-সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, অন্যথায় চরিত্রহীন হয়ে যাবে রাজনীতি। ভালো ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে। নষ্ট রাজনীতিবিদরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। আজ রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। রাজনীতিতে ভালো মানুষ নেই, আমরা রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে পারিনি। ভালো মানুষেরা, শিক্ষিত মানুষেরা, সৎ মানুষেরা রাজনীতির ধারে কাছে আসতে চান না। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের স্বীকার করতেই হবে। একই অবস্থা আমাদের ছাত্ররাজনীতির। এটি সুনামের ধারায় আসতে পারেনি।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, খারাপ লোকদের কাছে রাজনীতি গেলে দেশটা খারাপ হয়ে যাবে। খারাপ লোকের কাছে রাজনীতি থাকলে তারা এমপি হবে, মন্ত্রী হবে, দেশ চালাবে। ভালো লোকদের রাজনীতিতে আনতে হবে। সৎ লোকদের আনতে হবে। মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে। তা না হলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নষ্ট রাজনীতির কাছে বারবার আত্মসমর্পণ করি। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিবিদের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। এজন্য তো আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ সেই বাংলাদেশ কি আমরা রাখতে পেরেছি?

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পর তিন তিনবার কেউ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। যেটা আমার ভাগ্যে জুটেছে। আল্লাহর রহমত আর শেখ হাসিনার উছিলায়। আমার ১৭ বছরের মন্ত্রিত্ব, এটাও বিরল সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনবারের সাধারণ সম্পাদক সৌভাগ্যের ব্যাপার। উপরে আল্লাহ, নিচে শেখ হাসিনা; এত দূর পর্যন্ত আমাদের নিয়ে এসেছেন। এটা অস্বীকার করলে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হবে। এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, কোনো হত্যাকাণ্ডে অবলা নারী, অবলা শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টার্গেট করা হয়নি, যেটা হয়েছিল ১৯৭৫-এ। সেই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ উল্টোপথে যাত্রা শুরু করল। বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব হয়ে গেল। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত হলো।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগামী জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে।

এ সময় জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে ১৪ দলের জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পাটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।