ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজধানীতে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে অনেকটা ভীতির মধ্যে থেকে বাস মালিকরা রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরে বাস চালানো বন্ধ রেখেছিলেন। তবে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাত্রী অনুপাতে বাস চালাবেন। এর ফলে রাজধানীর সড়কে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পল্টনের নাইটিংগেল মোড়ে আকাশ পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা যায়। তবে বাসে খুব কম সংখ্যক যাত্রী দেখা গেছে।

এদিকে বাস মালিক এবং সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রাজধানীতে চলাচলকারী রাইদা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমরা কখনোই মালিকদের বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত জানাইনি। মালিকরা ভীত হয়ে রাস্তায় বাস নামাননি। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর আমরা তাদেরকে আবারও অনুরোধ করেছি, যেন বাস চালানো শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, সারাদিন যেহেতু রাজধানীতে যাত্রী একেবারেই কম ছিল, তাই আমরা বাস চালাতে পারিনি। সন্ধ্যায় যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মালিকরা বাস চালাতে আগ্রহী হচ্ছেন।

হিমাচল এক্সপ্রেস কাউন্টারের স্টাফ সালামতুল্লাহ বলেন, আমাদের কাউন্টার সকাল থেকে বন্ধ ছিল, কিছুক্ষণ আগে খুলেছি। এখন গাড়ি চলাচল শুরু করছে। যাত্রী না থাকায় গাড়ি সেভাবে ছাড়া হয়নি। এখন কিছু যাত্রী আসছে তাই গাড়ি ছাড়ছি। তবে সমাবেশের আতঙ্কেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি ছাড়িনি। এখন যেহেতু সমাবেশ শেষ তাই গাড়ি ছাড়া শুরু করেছি। যাত্রীও হচ্ছে মোটামুটি ভালো।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, আমি সারাদিন বাসস্ট্যান্ডে ছিলাম। কোনো যাত্রীকে দেখিনি টিকিট কাটতে আসতে। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু যাত্রী রাতে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আসছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী হলে রাতে ঢাকা থেকে বাস ছেড়ে যাবে। আশা করি রোববার সকালের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মাজেদুল হক বলেন, ‘আমি সকালেই যেতে চেয়েছিলাম। একবার এসে ফিরে গেছি, কারণ তখন গাড়ি ছাড়েনি। যাত্রী না থাকায় একটি বাসে উঠলেও পরে যাবে না বলে জানানো হয়। এখন বিকেলে এসে বাস পেয়েছি। রওনায়া হয়েছি।’

এর আগে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ ছিল। মাঝে মাঝে দু-একটি গাড়ি চললেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে সকাল থেকে গাড়ির কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীতে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে অনেকটা ভীতির মধ্যে থেকে বাস মালিকরা রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরে বাস চালানো বন্ধ রেখেছিলেন। তবে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাত্রী অনুপাতে বাস চালাবেন। এর ফলে রাজধানীর সড়কে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পল্টনের নাইটিংগেল মোড়ে আকাশ পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা যায়। তবে বাসে খুব কম সংখ্যক যাত্রী দেখা গেছে।

এদিকে বাস মালিক এবং সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রাজধানীতে চলাচলকারী রাইদা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমরা কখনোই মালিকদের বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত জানাইনি। মালিকরা ভীত হয়ে রাস্তায় বাস নামাননি। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর আমরা তাদেরকে আবারও অনুরোধ করেছি, যেন বাস চালানো শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, সারাদিন যেহেতু রাজধানীতে যাত্রী একেবারেই কম ছিল, তাই আমরা বাস চালাতে পারিনি। সন্ধ্যায় যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মালিকরা বাস চালাতে আগ্রহী হচ্ছেন।

হিমাচল এক্সপ্রেস কাউন্টারের স্টাফ সালামতুল্লাহ বলেন, আমাদের কাউন্টার সকাল থেকে বন্ধ ছিল, কিছুক্ষণ আগে খুলেছি। এখন গাড়ি চলাচল শুরু করছে। যাত্রী না থাকায় গাড়ি সেভাবে ছাড়া হয়নি। এখন কিছু যাত্রী আসছে তাই গাড়ি ছাড়ছি। তবে সমাবেশের আতঙ্কেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি ছাড়িনি। এখন যেহেতু সমাবেশ শেষ তাই গাড়ি ছাড়া শুরু করেছি। যাত্রীও হচ্ছে মোটামুটি ভালো।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, আমি সারাদিন বাসস্ট্যান্ডে ছিলাম। কোনো যাত্রীকে দেখিনি টিকিট কাটতে আসতে। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু যাত্রী রাতে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আসছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী হলে রাতে ঢাকা থেকে বাস ছেড়ে যাবে। আশা করি রোববার সকালের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মাজেদুল হক বলেন, ‘আমি সকালেই যেতে চেয়েছিলাম। একবার এসে ফিরে গেছি, কারণ তখন গাড়ি ছাড়েনি। যাত্রী না থাকায় একটি বাসে উঠলেও পরে যাবে না বলে জানানো হয়। এখন বিকেলে এসে বাস পেয়েছি। রওনায়া হয়েছি।’

এর আগে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ ছিল। মাঝে মাঝে দু-একটি গাড়ি চললেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে সকাল থেকে গাড়ির কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ।