ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে দ্বীপে মানুষের মৃত্যু ও জন্ম নিষিদ্ধ!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৭৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স‍্যালভার্ড। একটি নরওয়েজিয়ান দ্বীপ। যা আর্কটিক মহাসাগরে অবস্থিত। এই দ্বীপে মানুষের মৃত্যু ও জন্ম দুটোই নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন এমন অদ্ভূত নিয়ম?

স‍্যালভার্ড দ্বীপে মৃত্যু নিষিদ্ধ হবার কারণ হল সেখানকার জলবায়ু। দ্বীপটিতে তাপমাত্রা সারা বছর কম থাকায় কারও মৃত্যু হলে তার শরীর সহজে পচে না। আর তাই কেউ অসুস্থ হলেই মৃত্যুর আগেই তাকে দ্বীপের বাইরে রেখে আসা হয়। এমনকি যারা একটু বেশি বয়স্ক, তাদেরও রেখে আসা হয় দ্বীপের বাইরে। এই জায়গায় কোনো নারী গর্ভবতী হলে প্রসবের আগে এখান থেকে চলে যেতে হবে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন একটি জায়গা সত‍্যিই রয়েছে। কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম এই জায়গায়।

এখানে অ‍্যালকোহল পানের ক্ষেত্রেও জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখানকার পরিবেশ বিশেশজ্ঞদের মতে, এলাকাকে নিরাপদ রাখতে এটা করা দরকার। এখানে ড্রোন ও স্নোমোবাইল চালানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিড়াল এখানে নিষিদ্ধ কারণ তারা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তা সত্ত্বেও এই জায়গাটা খুব সুন্দর।

স‍্যালভার্ড দ্বীপ ছাড়াও কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই আছে যেখানে জন্ম এবং মৃত্যু নিষিদ্ধ। যেমন ধরুন, ইতালির ফ্যালসিয়ানো দেল মেক্সিকো।

২০১২ সালের মার্চ মাসে ইতালির ফ্যালসিয়ানো দেল মেক্সিকো শহরে এক আইন পাশ হয়। সেই আইন অনুযায়ী এই পৌরসভায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির মৃত্যু বেআইনি করা হয়েছে। কারণ, সেখানে কাউকে কবর দেওয়ার এতটুকু জায়গা নেই। সেখানকার মানুষদের মোটা টাকার বিনিময়ে কবর দেওয়া হয় অন্য এক শহরে নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যে দ্বীপে মানুষের মৃত্যু ও জন্ম নিষিদ্ধ!

আপডেট সময় : ১২:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স‍্যালভার্ড। একটি নরওয়েজিয়ান দ্বীপ। যা আর্কটিক মহাসাগরে অবস্থিত। এই দ্বীপে মানুষের মৃত্যু ও জন্ম দুটোই নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন এমন অদ্ভূত নিয়ম?

স‍্যালভার্ড দ্বীপে মৃত্যু নিষিদ্ধ হবার কারণ হল সেখানকার জলবায়ু। দ্বীপটিতে তাপমাত্রা সারা বছর কম থাকায় কারও মৃত্যু হলে তার শরীর সহজে পচে না। আর তাই কেউ অসুস্থ হলেই মৃত্যুর আগেই তাকে দ্বীপের বাইরে রেখে আসা হয়। এমনকি যারা একটু বেশি বয়স্ক, তাদেরও রেখে আসা হয় দ্বীপের বাইরে। এই জায়গায় কোনো নারী গর্ভবতী হলে প্রসবের আগে এখান থেকে চলে যেতে হবে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন একটি জায়গা সত‍্যিই রয়েছে। কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম এই জায়গায়।

এখানে অ‍্যালকোহল পানের ক্ষেত্রেও জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখানকার পরিবেশ বিশেশজ্ঞদের মতে, এলাকাকে নিরাপদ রাখতে এটা করা দরকার। এখানে ড্রোন ও স্নোমোবাইল চালানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিড়াল এখানে নিষিদ্ধ কারণ তারা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তা সত্ত্বেও এই জায়গাটা খুব সুন্দর।

স‍্যালভার্ড দ্বীপ ছাড়াও কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই আছে যেখানে জন্ম এবং মৃত্যু নিষিদ্ধ। যেমন ধরুন, ইতালির ফ্যালসিয়ানো দেল মেক্সিকো।

২০১২ সালের মার্চ মাসে ইতালির ফ্যালসিয়ানো দেল মেক্সিকো শহরে এক আইন পাশ হয়। সেই আইন অনুযায়ী এই পৌরসভায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির মৃত্যু বেআইনি করা হয়েছে। কারণ, সেখানে কাউকে কবর দেওয়ার এতটুকু জায়গা নেই। সেখানকার মানুষদের মোটা টাকার বিনিময়ে কবর দেওয়া হয় অন্য এক শহরে নিয়ে।