ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যেসব পণ্যের দাম কমবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই জাতীয় বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এই বাজেট উপস্থাপন করছেন। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে যেসব পণ্যর দাম কমতে পারে, তা হলো—

ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম : বাজেটে আরও ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত দিতে পারে সরকার। অ্যান্টি-ক্যানসার এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা হবে।

কৃষি যন্ত্রপাতি : বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।

ই-কমার্সের খরচ : বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রির ওপরে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এর ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জ।

বিদেশি পোশাক : আসন্ন বাজেটে অভিজাত বিদেশি কাপড় আমদানির ওপর শুল্ক কমানো বা অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক কর ২০-২৫ কমিয়ে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এর ফলে বিলাসবহুল কাপড়ের শুল্ক যদি কমানো হয়, তাহলে কম দামে পাওয়া যাবে এসব পোশাক।

স্যানিটারি ন্যাপকিন : একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদও একবছর বাড়তে পারে। এসব কিছুই জনস্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিহার্য।

এনবিআরের সূত্র বলছে, স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের আরও বিকাশে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্যানিটারি প্যাড এবং ডায়াপারের কাঁচামালের ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড় অব্যাহত রাখতে পারে।

সাবান ও শ্যাম্পু : সাবান ও শ্যাম্পুর কাঁচামাল লাবসা ও এসএলইস-এর উৎপাদন পর্যায়ে বর্তমানের হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট সুবিধা আরও একবছর বাড়ানো হতে পারে।

এলইডি বাল্ব : দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম কমতে পারে। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই শুল্ক ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসছে বাজেটে। সেহিসাবে দেশীয় এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।

মাংস ও মাংসজাত পণ্য : এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। এর উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমিয়ে আনা। এ পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা হতে পারে। অগ্রিম আয়কর কমালে মাংসের দাম কমতে পারে।

মিষ্টি : দাম কমার তালিকায় আরও রয়েছে মিষ্টি। কারণ মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় আরও কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কমানো হচ্ছে।

বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। পরে প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে।

জাতীয় সংসদে বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে। ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সরকারি ওয়েবসাইট লিংক এর ঠিকানাগুলোতেও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

www.bangladesh.gov.bd; www.nbr.gov.bd; www.plancomm.gov.bd; www.imed.gov.bd; www.pressinform.portal.gov.bd; www.pmo.gov.bd;

নিউজটি শেয়ার করুন

যেসব পণ্যের দাম কমবে

আপডেট সময় : ০৪:১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই জাতীয় বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এই বাজেট উপস্থাপন করছেন। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে যেসব পণ্যর দাম কমতে পারে, তা হলো—

ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম : বাজেটে আরও ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত দিতে পারে সরকার। অ্যান্টি-ক্যানসার এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা হবে।

কৃষি যন্ত্রপাতি : বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।

ই-কমার্সের খরচ : বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রির ওপরে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এর ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জ।

বিদেশি পোশাক : আসন্ন বাজেটে অভিজাত বিদেশি কাপড় আমদানির ওপর শুল্ক কমানো বা অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক কর ২০-২৫ কমিয়ে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এর ফলে বিলাসবহুল কাপড়ের শুল্ক যদি কমানো হয়, তাহলে কম দামে পাওয়া যাবে এসব পোশাক।

স্যানিটারি ন্যাপকিন : একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদও একবছর বাড়তে পারে। এসব কিছুই জনস্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিহার্য।

এনবিআরের সূত্র বলছে, স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের আরও বিকাশে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্যানিটারি প্যাড এবং ডায়াপারের কাঁচামালের ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড় অব্যাহত রাখতে পারে।

সাবান ও শ্যাম্পু : সাবান ও শ্যাম্পুর কাঁচামাল লাবসা ও এসএলইস-এর উৎপাদন পর্যায়ে বর্তমানের হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট সুবিধা আরও একবছর বাড়ানো হতে পারে।

এলইডি বাল্ব : দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম কমতে পারে। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই শুল্ক ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসছে বাজেটে। সেহিসাবে দেশীয় এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।

মাংস ও মাংসজাত পণ্য : এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। এর উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমিয়ে আনা। এ পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা হতে পারে। অগ্রিম আয়কর কমালে মাংসের দাম কমতে পারে।

মিষ্টি : দাম কমার তালিকায় আরও রয়েছে মিষ্টি। কারণ মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় আরও কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কমানো হচ্ছে।

বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। পরে প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে।

জাতীয় সংসদে বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে। ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সরকারি ওয়েবসাইট লিংক এর ঠিকানাগুলোতেও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

www.bangladesh.gov.bd; www.nbr.gov.bd; www.plancomm.gov.bd; www.imed.gov.bd; www.pressinform.portal.gov.bd; www.pmo.gov.bd;