ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মুরগী বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছে প্রতিবন্ধী রায়হান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// নিজস্ব প্রতিবেদক //

শ্রবণ, দৃষ্টি, মানসিক, শারীরিকসহ নানা প্রতিবন্ধী রয়েছে আমাদের সমাজে। চলতে পথে রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই চোখে পড়ে এদের। কেউ কেউ নিজের অক্ষমতাকে পুঁজি করে ভিক্ষা বৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। আবার কিছু ব্যতিক্রম চিত্র ও চোখে পড়ে। যারা নিজের অক্ষমতাকে উপেক্ষা করে নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে জাল বুঁনছে। বলছি পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্ম গ্রামের প্রতিবন্ধী রায়হানের কথা। যে কিনা ভিক্ষা বৃত্তিকে দুরে ঠেলে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার প্রাণবন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস তাকে পর নির্ভরশীল থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাইতো প্রতিবন্ধকতার কাছে অপরাজিত সৈনিক হয়ে কাঁধে তুলে নিয়েছেন পাঁচ সদস্যর পরিবার। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে। সংসারে রয়েছে তার বৃদ্ধা মা ও দু’ বোন। রায়হান জন্মগত ভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার হাত পা পুরোপুরি অচল না হলে ও অচলের মতন। অন্যের সাহায্য ছাড়াই হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয় তাকে। ২০ বছরের ছোট জীবনে থেমে নেই তার সংগ্রাম। জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন উপজেলার ভারেঙ্গা বাজার, রাকসা বাজার, বাটিয়াখড়া বাজার ঘুরে ঘুরে ভ্রাম্যমাণ মুরগীর ব্যবসা করে সে বড় বোনকে অর্নাস পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।

রায়হানের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই আমাকে ভিক্ষা করতে বলে কিন্তু “কারো কাছে হাত পেতে সাহায্য চাওয়া মানে নিজেকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়”। তাই মায়ের জমানো কিছু টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করছি। সারাদিন মুরগী বিক্রি করে ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা ইনকাম হয়। তবে স্বল্পপুঁজির কারণে ব্যবসা বড় করতে পারছিনা। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা পেলে রাকসা বাজারে একটা স্থায়ী দোকান দেওয়ার ইচ্ছে আছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ জানান, রায়হান নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। মাঝে মাঝে আমি নিজে তার খোঁজ খবর নিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করি।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

মুরগী বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছে প্রতিবন্ধী রায়হান

আপডেট সময় : ০৭:০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

// নিজস্ব প্রতিবেদক //

শ্রবণ, দৃষ্টি, মানসিক, শারীরিকসহ নানা প্রতিবন্ধী রয়েছে আমাদের সমাজে। চলতে পথে রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই চোখে পড়ে এদের। কেউ কেউ নিজের অক্ষমতাকে পুঁজি করে ভিক্ষা বৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। আবার কিছু ব্যতিক্রম চিত্র ও চোখে পড়ে। যারা নিজের অক্ষমতাকে উপেক্ষা করে নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে জাল বুঁনছে। বলছি পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্ম গ্রামের প্রতিবন্ধী রায়হানের কথা। যে কিনা ভিক্ষা বৃত্তিকে দুরে ঠেলে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার প্রাণবন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস তাকে পর নির্ভরশীল থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাইতো প্রতিবন্ধকতার কাছে অপরাজিত সৈনিক হয়ে কাঁধে তুলে নিয়েছেন পাঁচ সদস্যর পরিবার। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে। সংসারে রয়েছে তার বৃদ্ধা মা ও দু’ বোন। রায়হান জন্মগত ভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার হাত পা পুরোপুরি অচল না হলে ও অচলের মতন। অন্যের সাহায্য ছাড়াই হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয় তাকে। ২০ বছরের ছোট জীবনে থেমে নেই তার সংগ্রাম। জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন উপজেলার ভারেঙ্গা বাজার, রাকসা বাজার, বাটিয়াখড়া বাজার ঘুরে ঘুরে ভ্রাম্যমাণ মুরগীর ব্যবসা করে সে বড় বোনকে অর্নাস পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।

রায়হানের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই আমাকে ভিক্ষা করতে বলে কিন্তু “কারো কাছে হাত পেতে সাহায্য চাওয়া মানে নিজেকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়”। তাই মায়ের জমানো কিছু টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করছি। সারাদিন মুরগী বিক্রি করে ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা ইনকাম হয়। তবে স্বল্পপুঁজির কারণে ব্যবসা বড় করতে পারছিনা। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা পেলে রাকসা বাজারে একটা স্থায়ী দোকান দেওয়ার ইচ্ছে আছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ জানান, রায়হান নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। মাঝে মাঝে আমি নিজে তার খোঁজ খবর নিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করি।

বা/খ: এসআর।