ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে সরকার: মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের কোন উস্কানিতে পা দিবেন না। সরকার উস্কানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছেন। তাই সরকারের উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে জনগণকে সঙ্গে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।

বিএনপি বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি- আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোন জায়গায় কোনো অরাজকতা এবং কোন বিশৃঙ্খলা হয় নাই। অথচ প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমরা না কি বিশৃঙ্খলা করার জন্য সমাবেশ করি!

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা যখন তারা বুঝতে পেয়েছে- আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। তখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথা-বার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, সেজন্য দেশে-বিদেশের মানুষকে প্রতারণা করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।

তিনি বলেন, মহা একটি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদোশ অতিক্রম করছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তাদের ক্ষমতাকে ঠিকে রাখার জন্য তারা এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই মহান বিজয় দিবসে আজ স্মরণ করছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। আজ এই র‌্যালি পূর্ব সমাবেশ থেকে আমরা স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে এবং জীবন বাজি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের স্মরণ করছি।

এই সরকার আজকে দেশে-বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক সরকার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকার এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত।

বিএনপির শোভাযাত্রা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে মালিবাগ ও ফকিরাপুল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় দলটির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আশপাশের এলাকায়। শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চেই ব্যানার টানানো হয়।

সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে সরকার: মোশাররফ

আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের কোন উস্কানিতে পা দিবেন না। সরকার উস্কানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছেন। তাই সরকারের উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে জনগণকে সঙ্গে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।

বিএনপি বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি- আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোন জায়গায় কোনো অরাজকতা এবং কোন বিশৃঙ্খলা হয় নাই। অথচ প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমরা না কি বিশৃঙ্খলা করার জন্য সমাবেশ করি!

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা যখন তারা বুঝতে পেয়েছে- আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। তখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথা-বার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, সেজন্য দেশে-বিদেশের মানুষকে প্রতারণা করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।

তিনি বলেন, মহা একটি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদোশ অতিক্রম করছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তাদের ক্ষমতাকে ঠিকে রাখার জন্য তারা এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই মহান বিজয় দিবসে আজ স্মরণ করছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। আজ এই র‌্যালি পূর্ব সমাবেশ থেকে আমরা স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে এবং জীবন বাজি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের স্মরণ করছি।

এই সরকার আজকে দেশে-বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক সরকার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকার এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত।

বিএনপির শোভাযাত্রা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে মালিবাগ ও ফকিরাপুল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় দলটির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আশপাশের এলাকায়। শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চেই ব্যানার টানানো হয়।

সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।