ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মীরসরাইয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার প্রবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মীরসরাই প্রতিনিধি :
মীরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সমিতির বাজারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোহিদ আনোয়ার বাপ্পি ও তার সহযোগীরা মিলে প্রবাসী রফিকুল হায়দারকে (৩৮) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সমিতির বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঘাদিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজীর তালুক গ্রামের আনোয়ার আলী মেস্তরী বাড়ীর মৃত-রেজা উল করিম এর ছেলে তোহিদ আনোয়ার বাপ্পী (২২), একই বাড়ির মঞ্জুরুল আলম এর পুত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিসান (২২), তার ভাই দপ্তর সম্পাদক মোঃ অভি (২১), একই গ্রামের দিদারুল আলম এর পুত্র মোঃ নাইম (২০) সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন মিলে মধ্যম মঘাদিয়ার হাফিজুর রহমান মেস্তরী বাড়ীর মৃত সিরাজুল ইসলাম এর পুত্র মোঃ রফিকুল হায়দার (৩৮) কে চুরি, রামদা, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
মারধর ও চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এলে আহত রফিকুল হায়দারকে রেখে চলে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলায় আহত রফিকুল হায়দার বলেন, আমি প্রবাস থেকে ফেরার পর একটি গরুর খামার দিই। ঘটনার দিন রাতে আমি আমার পার্টনারের সাথে কথা বলার জন্য সমিতির বাজারে পৌঁছাই। কোন কিছুই বুঝে ওঠার আগে বাপ্পি ও তার দলবল নিয়ে আমার উপর রড চুরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং আমার সাথে থাকা নগদ ২,০৯,০০০/ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। ইতিপূর্বে বাপ্পি আমার চাচাতো ভাইকে জোরপূর্বক মিটিং নেয়ার জেরে একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা থানায় একটি মিথ্যা মামলাও করে।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, গত ১০-১২ দিন রফিকুল হায়দারের চাচাতো ভাই সাব্বিরের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর একটি অভিযোগ আসে। ঐ ঘটনায় মারধরের একটি মামলা ও চলমান আছে। মূলত ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত পরশু বাজারে এসে গালমন্দ করে রফিকুল হায়দার। এরই প্রেক্ষিতে আমার কিছু ছোট ভাই ও বাজারের লোকজন তাকে মারধর করে।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখে আসি। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে মীমাংসার দাবি জানাই। এবং অভিযোগের যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আমি আমার সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

মীরসরাইয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার প্রবাসী

আপডেট সময় : ০৪:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
মীরসরাই প্রতিনিধি :
মীরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সমিতির বাজারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোহিদ আনোয়ার বাপ্পি ও তার সহযোগীরা মিলে প্রবাসী রফিকুল হায়দারকে (৩৮) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সমিতির বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঘাদিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজীর তালুক গ্রামের আনোয়ার আলী মেস্তরী বাড়ীর মৃত-রেজা উল করিম এর ছেলে তোহিদ আনোয়ার বাপ্পী (২২), একই বাড়ির মঞ্জুরুল আলম এর পুত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিসান (২২), তার ভাই দপ্তর সম্পাদক মোঃ অভি (২১), একই গ্রামের দিদারুল আলম এর পুত্র মোঃ নাইম (২০) সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন মিলে মধ্যম মঘাদিয়ার হাফিজুর রহমান মেস্তরী বাড়ীর মৃত সিরাজুল ইসলাম এর পুত্র মোঃ রফিকুল হায়দার (৩৮) কে চুরি, রামদা, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
মারধর ও চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এলে আহত রফিকুল হায়দারকে রেখে চলে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলায় আহত রফিকুল হায়দার বলেন, আমি প্রবাস থেকে ফেরার পর একটি গরুর খামার দিই। ঘটনার দিন রাতে আমি আমার পার্টনারের সাথে কথা বলার জন্য সমিতির বাজারে পৌঁছাই। কোন কিছুই বুঝে ওঠার আগে বাপ্পি ও তার দলবল নিয়ে আমার উপর রড চুরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং আমার সাথে থাকা নগদ ২,০৯,০০০/ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। ইতিপূর্বে বাপ্পি আমার চাচাতো ভাইকে জোরপূর্বক মিটিং নেয়ার জেরে একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা থানায় একটি মিথ্যা মামলাও করে।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, গত ১০-১২ দিন রফিকুল হায়দারের চাচাতো ভাই সাব্বিরের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর একটি অভিযোগ আসে। ঐ ঘটনায় মারধরের একটি মামলা ও চলমান আছে। মূলত ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত পরশু বাজারে এসে গালমন্দ করে রফিকুল হায়দার। এরই প্রেক্ষিতে আমার কিছু ছোট ভাই ও বাজারের লোকজন তাকে মারধর করে।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখে আসি। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে মীমাংসার দাবি জানাই। এবং অভিযোগের যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আমি আমার সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা/খ:জই