ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিজান মাঝির জালে ৪০ লাখ টাকার রুপালী ইলিশ

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
পটুয়াখালীর মহিপুরে মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মন ইলিশ। সোমবার দুপুরে এসব মাছ মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস আড়দে নিয়ে আসা হয়। পরে এসব মাছ ডাকের মাধ্যমে ৩৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এই জেলের জালেই সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফয়সাল ফিসে সত্বাধিকারী মোঃ ফজলু গাজী।
মিজান মাঝি জানান, এফবি ভাই ভাই নামের একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে গত ৫ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কয়েকদিন সাগরে জাল ফেলার পরও তাদের জালে মেলেনি কোন মাছ। পরে রবিবার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার দিকে সাগরে জাল ফেলার পর এক খ্যাওয়ে (একটানে) ধরা পড়ে ৯৬ মন ইলিশ। একবারে এতো ইলিশ পাওয়ায় তিনি অনেকটা আনন্দিত হন। তিনি আরও জানান, এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক তিনি নিজেই। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পরেন। মাছ বিক্রির টাকায় তিনি পূর্বের ধার দেনা শোধ করবেন।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফয়সাল ফিসের মালিক মোঃ ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়ছেনা। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার বাজার খরচও হয়না।
কলাপাড়া উপজেলা  সিনিয়র  মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয় আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকল জেলের জালেই ধরা পড়বে কাংখিত ইলিশ। সাগরে এই নিসেধাজ্ঞার কারণে  পর্যাপ্তা  মাছ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিজান মাঝির জালে ৪০ লাখ টাকার রুপালী ইলিশ

আপডেট সময় : ১১:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
পটুয়াখালীর মহিপুরে মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মন ইলিশ। সোমবার দুপুরে এসব মাছ মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস আড়দে নিয়ে আসা হয়। পরে এসব মাছ ডাকের মাধ্যমে ৩৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এই জেলের জালেই সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফয়সাল ফিসে সত্বাধিকারী মোঃ ফজলু গাজী।
মিজান মাঝি জানান, এফবি ভাই ভাই নামের একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে গত ৫ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কয়েকদিন সাগরে জাল ফেলার পরও তাদের জালে মেলেনি কোন মাছ। পরে রবিবার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার দিকে সাগরে জাল ফেলার পর এক খ্যাওয়ে (একটানে) ধরা পড়ে ৯৬ মন ইলিশ। একবারে এতো ইলিশ পাওয়ায় তিনি অনেকটা আনন্দিত হন। তিনি আরও জানান, এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক তিনি নিজেই। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পরেন। মাছ বিক্রির টাকায় তিনি পূর্বের ধার দেনা শোধ করবেন।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফয়সাল ফিসের মালিক মোঃ ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়ছেনা। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার বাজার খরচও হয়না।
কলাপাড়া উপজেলা  সিনিয়র  মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয় আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকল জেলের জালেই ধরা পড়বে কাংখিত ইলিশ। সাগরে এই নিসেধাজ্ঞার কারণে  পর্যাপ্তা  মাছ আছে।