ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানব পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে ৭ মাস ধরে নিখোঁজ কটিয়াদীর আনোয়ার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজ আনোয়ার

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ ) প্রতিনিধি :

মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে সাত মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আনোয়ার হোসাইন। স্থানীয় আদম ব্যবসায়ীর প্রলোভনে পড়ে বিদেশ সৌদি আরব গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোনো কুল কিনারা করতে পারেনি। আনোয়ার কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালাটিয়ার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালটিয়ার মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য দুলালের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বনানীর ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী দিপা আক্তার কিশোরগঞ্জ মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ একটি মামলা করেন। মামলায় চক্রের সদস্য দুলাল, ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঁচলগোটা মাইজহাটির সাহাবউদ্দিনের ছেলে আসাদকে (৪০) আসামি করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদশে দিয়েছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালাটিয়ার যুবক আনোয়ার হোসাইনকে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য দুলাল ঢাকার বনানীস্থ ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠান। কিন্তু বিদেশে ‘শারীকা মানসিমুল ইয়াসমিন আল মুকাওয়ালাত’ কোম্পানিতে যাওয়ার পর আসামি দুলাল বাকিদের পরস্পর যোগসাজসে আনোয়ারকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে। এ সময় তারা আনোয়ারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি দেশে স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দাবিকৃত টাকা দিতেও সম্মতি দেয় বলে স্ত্রী দিপা আক্তার জানান। তবে টাকা পয়সার ব্যবস্থা করতে কিছুটা সময় দেরি হওয়ায় গত ১৭ মে স্বামী আনোয়ার হোসাইনকে দুলাল ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে গোপন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অদ্যাবধি আনোয়ার হোসাইনের কোনো খোঁজ মেলেনি।

তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছেলের সন্ধানে সহযোগিতা চেয়ে নিখোঁজ আনোয়ারের মা বানেছা খাতুন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পাননি।
বিষয়ে নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজের স্ত্রী উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ মামলা না নেয়ায় অবশেষে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ভিকটিমের স্ত্রী দিপা আক্তার জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানব পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে ৭ মাস ধরে নিখোঁজ কটিয়াদীর আনোয়ার

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ ) প্রতিনিধি :

মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে সাত মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আনোয়ার হোসাইন। স্থানীয় আদম ব্যবসায়ীর প্রলোভনে পড়ে বিদেশ সৌদি আরব গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোনো কুল কিনারা করতে পারেনি। আনোয়ার কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালাটিয়ার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালটিয়ার মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য দুলালের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বনানীর ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী দিপা আক্তার কিশোরগঞ্জ মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ একটি মামলা করেন। মামলায় চক্রের সদস্য দুলাল, ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঁচলগোটা মাইজহাটির সাহাবউদ্দিনের ছেলে আসাদকে (৪০) আসামি করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদশে দিয়েছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া কোদালাটিয়ার যুবক আনোয়ার হোসাইনকে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য দুলাল ঢাকার বনানীস্থ ‘সেভেন সিস কর্পোরেশন’ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠান। কিন্তু বিদেশে ‘শারীকা মানসিমুল ইয়াসমিন আল মুকাওয়ালাত’ কোম্পানিতে যাওয়ার পর আসামি দুলাল বাকিদের পরস্পর যোগসাজসে আনোয়ারকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে। এ সময় তারা আনোয়ারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি দেশে স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দাবিকৃত টাকা দিতেও সম্মতি দেয় বলে স্ত্রী দিপা আক্তার জানান। তবে টাকা পয়সার ব্যবস্থা করতে কিছুটা সময় দেরি হওয়ায় গত ১৭ মে স্বামী আনোয়ার হোসাইনকে দুলাল ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে গোপন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অদ্যাবধি আনোয়ার হোসাইনের কোনো খোঁজ মেলেনি।

তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছেলের সন্ধানে সহযোগিতা চেয়ে নিখোঁজ আনোয়ারের মা বানেছা খাতুন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পাননি।
বিষয়ে নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজের স্ত্রী উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ মামলা না নেয়ায় অবশেষে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ভিকটিমের স্ত্রী দিপা আক্তার জানান।