ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মহম্মদপুরে সেনাসদস্যর স্ত্রী-ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// নওয়াব আলী, মাগুরা //
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন পাখি মিয়ার ভাড়া ভবন থেকে সেনাসদস্যর স্ত্রী ও ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ করলো কসাই রিপন খানসহ একদল সন্ত্রাসী লোকজন। ঘটনাটি গত শুক্রবার ২ জুন অনুমান দেড়টার সময় রিপন খানসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন এই ঘটনা ঘটায়।
সরেজমিনে সোমবার (৫ জুন) মহম্মদপুরে সেনাসদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২) এর সাথে কথা বলে জানা যায় আসল ঘটনা। মহম্মদপুর গঙ্গানন্দপুর গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের (সেনা সদস্য) স্ত্রী  পলাশবাড়ীয়া গ্রামের আকরাম হোসেনের মেয়ে লতিফা খাতুন (৩৪) কে দিনে দুপুরে অপহরণ করেছে বাঐইজানী গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে রিপন মিয়া খানসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন।
জাহাঙ্গীর আলমের বড় মেয়ে তাসলিম খাতুন বলেন, অপহরণের সময় আমি বাঁধা দেই। এ সময় আমি কসাই রিপন মিয়াকে চিনেছিলাম। রিপন সাদা রংয়ের মাইক্রোগাড়ি নিয়ে আসে। তার সাথে ছিলো ৪-৫ জন লোকজন। এরপর আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য রিপনসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন আমাকে শারীরিক আঘাত করে আমার মা লতিফা ইয়াসমিন ও আমার ভাই আবু রায়হান (৬) বছর কে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, অপহরণের সময় উপস্থিত ছিলো আমজাদ খানের ছেলে রিপন মিয়া খান, জাহিদুল খান ও রবিন খানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের সন্ত্রাসী লোকজন। তিনি বলেন, এ সময় আমার ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ, জমি ক্রয়ের ৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ শতক জমির দলিল ও আমার ছোট ছেলে আবু রায়হান ও আমার স্ত্রী লতিফাকে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়।
সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, রিপন মিয়া আমাকে মোবাইল ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে। আমি এখন মাগুরা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার ৩ মেয়ের জীবনের নিরাপত্তাসহ তাদের ফিরে পাওয়ার সুদৃষ্টি কামনা করি। সেনাসদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহম্মদপুরে সেনাসদস্যর স্ত্রী-ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
// নওয়াব আলী, মাগুরা //
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন পাখি মিয়ার ভাড়া ভবন থেকে সেনাসদস্যর স্ত্রী ও ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ করলো কসাই রিপন খানসহ একদল সন্ত্রাসী লোকজন। ঘটনাটি গত শুক্রবার ২ জুন অনুমান দেড়টার সময় রিপন খানসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন এই ঘটনা ঘটায়।
সরেজমিনে সোমবার (৫ জুন) মহম্মদপুরে সেনাসদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২) এর সাথে কথা বলে জানা যায় আসল ঘটনা। মহম্মদপুর গঙ্গানন্দপুর গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের (সেনা সদস্য) স্ত্রী  পলাশবাড়ীয়া গ্রামের আকরাম হোসেনের মেয়ে লতিফা খাতুন (৩৪) কে দিনে দুপুরে অপহরণ করেছে বাঐইজানী গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে রিপন মিয়া খানসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন।
জাহাঙ্গীর আলমের বড় মেয়ে তাসলিম খাতুন বলেন, অপহরণের সময় আমি বাঁধা দেই। এ সময় আমি কসাই রিপন মিয়াকে চিনেছিলাম। রিপন সাদা রংয়ের মাইক্রোগাড়ি নিয়ে আসে। তার সাথে ছিলো ৪-৫ জন লোকজন। এরপর আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য রিপনসহ তার সন্ত্রাসী লোকজন আমাকে শারীরিক আঘাত করে আমার মা লতিফা ইয়াসমিন ও আমার ভাই আবু রায়হান (৬) বছর কে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, অপহরণের সময় উপস্থিত ছিলো আমজাদ খানের ছেলে রিপন মিয়া খান, জাহিদুল খান ও রবিন খানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের সন্ত্রাসী লোকজন। তিনি বলেন, এ সময় আমার ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ, জমি ক্রয়ের ৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ শতক জমির দলিল ও আমার ছোট ছেলে আবু রায়হান ও আমার স্ত্রী লতিফাকে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়।
সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, রিপন মিয়া আমাকে মোবাইল ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে। আমি এখন মাগুরা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার ৩ মেয়ের জীবনের নিরাপত্তাসহ তাদের ফিরে পাওয়ার সুদৃষ্টি কামনা করি। সেনাসদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আছেন।