ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মন্ত্রী নয়, সন্তান হিসেবে বাবার বিচার দেখে যেতে চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন সন্তান হিসেবেই বাবা আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিচার দেখে যেতে চান যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বিচার শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

আপিল কী অবস্থায় আছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিচারাধিন রয়েছে। আমরা আপিল করেছি। আশা করছি, সিরিয়াল জটিলতায় যেনো সেটি আটকে না থাকে। দ্রুত শুনানির মাধ্যমে মহামান্য আদালত পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করবে। মন্ত্রী হিসেবে নয় সন্তান হিসেবে এই সরকার আমলেই বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চাই। আশা করছি তাদের ফাঁসি দেখে যেতে পারবো। আমার পরিবার কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে দিনদুপুরে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় এক স্কুলছাত্র তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়। পরে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আকাশ ও হানিফ নামে আরও দুজন নিহত হন। এ মামলার প্রধান সাক্ষী সুমন আহমেদ মজুমদারকে পিটিয়ে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তিনি বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পর পাঁচজনকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে নিম্ন আদালতে ২২ জনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতেও রায় হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে আছে।

তিনি বলেন, মামলায় বিবাদীরা আপিল করেছেন। আমরাও আপিল করেছি। কারণ রায়ে কিছুটা কম-বেশি হয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ মামলার বিচার শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আদালতের কাছে এমনটিই প্রত্যাশা করছি। মামলার সিরিয়ালটি সামনে আনার চেষ্টা করছি। রায় বাস্তবায়ন হলে আমাদের পরিবার শান্তি পাবে। যারা সেদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি হবে না, তা মেনে নেওয়া যায় না।’

বিচারে দীর্ঘসময় নেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের পরিবারের চাওয়া, এটি যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়।

এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ হবে কি না— জানতে চাইলে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সরকারের হাতে এখনো এক বছর সময় আছে। আশা করছি, এ সময়ে আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখতে পাবো।

সাম্প্রতিক সময়ে খেলাধুলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময় খেলাধুলায় আমাদের অনেক সফলতা আছে। নারী ফুটবল, ক্রিকেটে ভারতকে হারানোসহ বিভিন্ন খেলায় সাফল্যের সাক্ষর রাখতে পেরেছি। খামারিদের উৎসাহিত করতে ক্যাটল এক্সপো করা হয়েছিল, সেখানে টিকিট কেটে ৫০ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে।

আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, যাতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। পদ্মা সেতুর কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কর্মসংস্থানের জন্য ৪৭১১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং ঋণ দিয়েছি। তাদের অনেকে এখন স্বাবলম্বী।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল আনোয়ার (ডন)।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্ত্রী নয়, সন্তান হিসেবে বাবার বিচার দেখে যেতে চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন সন্তান হিসেবেই বাবা আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিচার দেখে যেতে চান যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বিচার শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

আপিল কী অবস্থায় আছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিচারাধিন রয়েছে। আমরা আপিল করেছি। আশা করছি, সিরিয়াল জটিলতায় যেনো সেটি আটকে না থাকে। দ্রুত শুনানির মাধ্যমে মহামান্য আদালত পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করবে। মন্ত্রী হিসেবে নয় সন্তান হিসেবে এই সরকার আমলেই বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চাই। আশা করছি তাদের ফাঁসি দেখে যেতে পারবো। আমার পরিবার কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে দিনদুপুরে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় এক স্কুলছাত্র তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়। পরে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আকাশ ও হানিফ নামে আরও দুজন নিহত হন। এ মামলার প্রধান সাক্ষী সুমন আহমেদ মজুমদারকে পিটিয়ে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তিনি বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পর পাঁচজনকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে নিম্ন আদালতে ২২ জনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতেও রায় হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে আছে।

তিনি বলেন, মামলায় বিবাদীরা আপিল করেছেন। আমরাও আপিল করেছি। কারণ রায়ে কিছুটা কম-বেশি হয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ মামলার বিচার শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আদালতের কাছে এমনটিই প্রত্যাশা করছি। মামলার সিরিয়ালটি সামনে আনার চেষ্টা করছি। রায় বাস্তবায়ন হলে আমাদের পরিবার শান্তি পাবে। যারা সেদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি হবে না, তা মেনে নেওয়া যায় না।’

বিচারে দীর্ঘসময় নেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের পরিবারের চাওয়া, এটি যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়।

এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ হবে কি না— জানতে চাইলে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সরকারের হাতে এখনো এক বছর সময় আছে। আশা করছি, এ সময়ে আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখতে পাবো।

সাম্প্রতিক সময়ে খেলাধুলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময় খেলাধুলায় আমাদের অনেক সফলতা আছে। নারী ফুটবল, ক্রিকেটে ভারতকে হারানোসহ বিভিন্ন খেলায় সাফল্যের সাক্ষর রাখতে পেরেছি। খামারিদের উৎসাহিত করতে ক্যাটল এক্সপো করা হয়েছিল, সেখানে টিকিট কেটে ৫০ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে।

আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, যাতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। পদ্মা সেতুর কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কর্মসংস্থানের জন্য ৪৭১১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং ঋণ দিয়েছি। তাদের অনেকে এখন স্বাবলম্বী।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল আনোয়ার (ডন)।