ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মঠবাড়িয়ায় ফের লোকালয়ে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চালু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলফিকার আমীন, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামে জনবসতীপূর্ণ এলাকায় ও স্কুল সংলগ্ন মাঠে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে প্রভাবশালী শাহ আলম গাজীকে জরিমান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু সব দিক ম্যানেজ করে পুণরায় একই স্থানে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শাহ আলম গাজী। এতে ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছে এলাকাবাসি। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পাশাপশি অবৈধ ইটভাটা (পাঁজা) বন্ধের দাবীতে মানববন্ধনও করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এতকিছুর পরেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা শাহ আলম গাজীর অবৈধ ও জনবিরোধী কার্যক্রম।

স্থানীয় বাসিন্দা আঃ রব হাওলাদার, শাহজাহান গাজী, আলামগীর হোসেন সেলিম, মো. শাহজাহান গাজী, মনিরা আক্তার, সালমা সুলতানা, মো. জলিল হাওলাদার, শাহ জালাল গাজী বলেন, পার্শ্ববর্তী বাদুরতলী গ্রামের মৃত. সৈজদ্দিন গাজীর ছেলে প্রভাবশালী শাহ আলম গাজী আমাদের সোখাখালী গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কাঠ দিয়ে অবৈধ ইটভাটা (পাঁজা) পুড়িয়ে আসছেন। এ অবৈধ ইট পোড়ানোর ফলে এলাকার গাছ পুড়ে যাচ্ছে, যতদূর ধোঁয়া যাচ্ছে ততদূর গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে, পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে, এলাকার বৃদ্ধ ও শিশুরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।

স্থানীয় বাসিন্ধা আঃ মালেক গাজীর ছেলে মো. শাহ জালাল গাজী বলেন, এলাকাবাসির অনুরোধে আমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। সর্বশেষ বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দিলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি।

অভিযুক্ত শাহ আলম গাজী দাম্ভিকতার সাথে বলেন, প্রশাসন কোন অনুমতি দেয়নি কিন্তু আমি ইট পোড়াই ব্যবসা করি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক বলেন, পূর্বে একাধিকবার মোবাইলকোট করা হয়েছে। ওই ইটভাটাটি দ্রুত বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এলাকাবাসির পক্ষে পরিবেশ রক্ষায় মামলা করার সুযোগও রয়েছে।

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

মঠবাড়িয়ায় ফের লোকালয়ে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চালু

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

জুলফিকার আমীন, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামে জনবসতীপূর্ণ এলাকায় ও স্কুল সংলগ্ন মাঠে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে প্রভাবশালী শাহ আলম গাজীকে জরিমান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু সব দিক ম্যানেজ করে পুণরায় একই স্থানে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শাহ আলম গাজী। এতে ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছে এলাকাবাসি। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পাশাপশি অবৈধ ইটভাটা (পাঁজা) বন্ধের দাবীতে মানববন্ধনও করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এতকিছুর পরেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা শাহ আলম গাজীর অবৈধ ও জনবিরোধী কার্যক্রম।

স্থানীয় বাসিন্দা আঃ রব হাওলাদার, শাহজাহান গাজী, আলামগীর হোসেন সেলিম, মো. শাহজাহান গাজী, মনিরা আক্তার, সালমা সুলতানা, মো. জলিল হাওলাদার, শাহ জালাল গাজী বলেন, পার্শ্ববর্তী বাদুরতলী গ্রামের মৃত. সৈজদ্দিন গাজীর ছেলে প্রভাবশালী শাহ আলম গাজী আমাদের সোখাখালী গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কাঠ দিয়ে অবৈধ ইটভাটা (পাঁজা) পুড়িয়ে আসছেন। এ অবৈধ ইট পোড়ানোর ফলে এলাকার গাছ পুড়ে যাচ্ছে, যতদূর ধোঁয়া যাচ্ছে ততদূর গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে, পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে, এলাকার বৃদ্ধ ও শিশুরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।

স্থানীয় বাসিন্ধা আঃ মালেক গাজীর ছেলে মো. শাহ জালাল গাজী বলেন, এলাকাবাসির অনুরোধে আমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। সর্বশেষ বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দিলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি।

অভিযুক্ত শাহ আলম গাজী দাম্ভিকতার সাথে বলেন, প্রশাসন কোন অনুমতি দেয়নি কিন্তু আমি ইট পোড়াই ব্যবসা করি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক বলেন, পূর্বে একাধিকবার মোবাইলকোট করা হয়েছে। ওই ইটভাটাটি দ্রুত বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এলাকাবাসির পক্ষে পরিবেশ রক্ষায় মামলা করার সুযোগও রয়েছে।

বা/খ: জই