ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মঠবাড়িয়ায় পিবিআই’র এসপির বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি দখলের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৭৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি //

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব সম্পত্তি বার বার দখল করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার বাসিন্দা পিবিআই পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোঃ মুশফিকুর রহমান ওরফে মামুনের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ভাবে হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে জমি দখল করায় হাসপাতাল নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বার বার বাঁধা দেয়া সত্বেও এসপি ক্ষমতার দাপটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে‘র জমি দখল করে আসছেন। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম সারোয়ার পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছে (স্মারক নং-৬১৮,তারিখ-১১-০৮-২০২৩) ।

লিখিত সূত্রে জানা যায়,  পৌর এলাকার দক্ষিণ বন্দর বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মৃত মোঃ মোশারেফ হোসেনের ছেলে খুলনা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ইতিমধ্যে হাসপাতালের পূর্ব ও উত্তর পাশের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ৫ ফুট জমি অবৈধ ভাবে দখল করেন। হাসপাতাল লাগোয়া পুলিশ সুপারের ওই জমিতে তিনি দুইটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে প্রকাশ্যে দিবালোকে আবারও হাসপাতালের আরও ১০ ফুট জমি দখল করে বালু ভরাট করছেন।

পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফ উল হক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান হাসপাতালের বাউন্ডারি ভেঙে ৫ ফুট ও পরে আরও ১০ ফুট জমি দখলে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন পৌরসভার অনুমোতি না নিয়ে ইতোমধ্যে দুই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।

এ ব্যাপারে পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের দলিল অনুযায়ী প্রায় ২৩ শতাংশ জমিই কম রয়েছে। ভবন নির্মাণ সম্পর্কে বলেন, পৌরসভা গঠিত হবার আগে ভবন নির্মাণ করায় অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম জমি দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানকে পরিমাপ করে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবারও অবৈধ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচিরেই সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জ্যাকি বলেন, বিষটির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মঠবাড়িয়ায় পিবিআই’র এসপির বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

// মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি //

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব সম্পত্তি বার বার দখল করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার বাসিন্দা পিবিআই পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোঃ মুশফিকুর রহমান ওরফে মামুনের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ভাবে হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে জমি দখল করায় হাসপাতাল নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বার বার বাঁধা দেয়া সত্বেও এসপি ক্ষমতার দাপটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে‘র জমি দখল করে আসছেন। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম সারোয়ার পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছে (স্মারক নং-৬১৮,তারিখ-১১-০৮-২০২৩) ।

লিখিত সূত্রে জানা যায়,  পৌর এলাকার দক্ষিণ বন্দর বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মৃত মোঃ মোশারেফ হোসেনের ছেলে খুলনা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ইতিমধ্যে হাসপাতালের পূর্ব ও উত্তর পাশের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ৫ ফুট জমি অবৈধ ভাবে দখল করেন। হাসপাতাল লাগোয়া পুলিশ সুপারের ওই জমিতে তিনি দুইটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে প্রকাশ্যে দিবালোকে আবারও হাসপাতালের আরও ১০ ফুট জমি দখল করে বালু ভরাট করছেন।

পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফ উল হক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান হাসপাতালের বাউন্ডারি ভেঙে ৫ ফুট ও পরে আরও ১০ ফুট জমি দখলে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন পৌরসভার অনুমোতি না নিয়ে ইতোমধ্যে দুই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।

এ ব্যাপারে পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের দলিল অনুযায়ী প্রায় ২৩ শতাংশ জমিই কম রয়েছে। ভবন নির্মাণ সম্পর্কে বলেন, পৌরসভা গঠিত হবার আগে ভবন নির্মাণ করায় অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম জমি দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানকে পরিমাপ করে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবারও অবৈধ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচিরেই সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জ্যাকি বলেন, বিষটির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে।