নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের আগে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকার ব্যবস্থা নিলে জাতীয় পার্টি তাতে সহায়তা করবে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ওয়াসার এমডির বিদেশে ১৪টি বাড়ি আছে। আবার ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির নিউইয়র্কে একাধিক বাড়ি রয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এসব অভিযোগের তদন্ত করা উচিত। একই সঙ্গে দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

চুন্নু বলেন, সরকার দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে, জাতীয় পার্টি তাতে সহায়তা করবে। অর্থমন্ত্রী মুখ বন্ধ করে আছেন, তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। কারা বিদেশি ফল আমদানির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে তা দেখার যেন কেউ নেই। দেশের মানুষ ভালো নেই, কারও যেন কোনো দায়িত্ব নেই।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা না করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বিএনপি আরও বেশি খারাপ, সারের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে তারা। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায় না। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই সমাজের বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রতিদিনই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেপি নেতা নাসির উদ্দিন ইমরান এবং মো. মেহেদী হাসান শাহাদাত মুজিবুল হক চুন্নু হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, শাহজাহান মানসুর, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আহাদ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, খোরশেদ আলম খুশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।