ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভাঙ্গুড়ায় বরখাস্তের পরও আট বছর ধরে বেতন ভাতা তুলছেন প্রধান শিক্ষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এ.এইচ. মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :

আর্থিক দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আট বছর আগে। তারপরও নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা।

এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ১৯ বছর আগে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা বিদ্যালয়ের আয়া পদে একটি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়ান। তিনি শম্পা খাতুন নামের এক নারীকে জাল নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন। ওই নিয়োগে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নেন তিনি। নিয়োগের তিন মাস পর চাকরি হারান শম্পা খাতুন। পরে ঘটনা তদন্ত করে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর আফসার আলী রানাকে বরখাস্ত করা হয়। চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও গত আট বছর ধরে নিয়মিত অফিস করছেন ও বেতন-ভাতা তুলছেন আফসার আলী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাত হোসেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন জবাব  দেননি। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেন। পরে আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালি বলেন, কিছুদিন হলো আমি পাবনায় বদলি হয়ে এসেছি। ঘটনার সময়কাল অনেক আগের। সেজন্য বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোজখবর নেওয়া হবে।

 

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গুড়ায় বরখাস্তের পরও আট বছর ধরে বেতন ভাতা তুলছেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

এ.এইচ. মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :

আর্থিক দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আট বছর আগে। তারপরও নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা।

এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ১৯ বছর আগে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা বিদ্যালয়ের আয়া পদে একটি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়ান। তিনি শম্পা খাতুন নামের এক নারীকে জাল নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন। ওই নিয়োগে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নেন তিনি। নিয়োগের তিন মাস পর চাকরি হারান শম্পা খাতুন। পরে ঘটনা তদন্ত করে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর আফসার আলী রানাকে বরখাস্ত করা হয়। চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও গত আট বছর ধরে নিয়মিত অফিস করছেন ও বেতন-ভাতা তুলছেন আফসার আলী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাত হোসেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন জবাব  দেননি। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেন। পরে আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালি বলেন, কিছুদিন হলো আমি পাবনায় বদলি হয়ে এসেছি। ঘটনার সময়কাল অনেক আগের। সেজন্য বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোজখবর নেওয়া হবে।

 

 

বা/খ: জই