ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্রিকস : বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক যুগেরও বেশি সময়ে নতুন কোন দেশ ব্রিকসের সদস্য হয়নি। তবে এই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিকল্প বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পায় ব্রিকস। যা আগামীতে আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই জোটে থাকলে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে। বাড়বে ঋণ সুবিধাও।

বিশ্ব অর্থনীতিতে জি-সেভেনভূক্ত দেশগুলোর চেয়েও ব্রিকস জোটের শেয়ার বেড়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস দেশগুলোর শেয়ার ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে।

অর্থনীতিবিদ আব্দুর দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রিকস জোটের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। দিনদিন তারা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। তাই বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে থাকলে বাণিজ্যে অনেক প্রসার ঘটতে পারে। পাশাপাশি ঋণ সুবিধাসহ বাণিজ্যেও সুযোগ সুবিধা তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ ছাড়াও এখন ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ২৪টি দেশ। আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশিরভাগ বাণিজ্য থাকায়, ব্রিকসের সদস্য হলেও ঘাটতির আশঙ্কা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যবসা পশ্চিমা দেশ ও আমেরিকার সঙ্গে। তবে ব্রিকস যেহেতু একটি অর্থনৈতিক জোট। তাই এতে বাংলাদেশ সদস্য হলে পশ্চিমাদের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছি। বরং বাংলাদেশ ব্রিকস থেকে নানা সুবিধা নিতে পারবে।

ব্রিকসের আগামী সম্মেলনে যাদের সদস্য করা হবে, তারা প্রথমে সহযোগীর মর্যদা পাবে। পরে দুই কিংবা তিন বছরে পূর্ণ সদস্য হবে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক জোট ব্রিক গঠন করা হয়। পরের বছরই এ জোটে যোগ দেয় সাউথ আফ্রিকা। জোটের নতুন নাম দেওয়া হয় ব্রিকস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রিকস : বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে

আপডেট সময় : ০২:০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

এক যুগেরও বেশি সময়ে নতুন কোন দেশ ব্রিকসের সদস্য হয়নি। তবে এই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিকল্প বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পায় ব্রিকস। যা আগামীতে আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই জোটে থাকলে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে। বাড়বে ঋণ সুবিধাও।

বিশ্ব অর্থনীতিতে জি-সেভেনভূক্ত দেশগুলোর চেয়েও ব্রিকস জোটের শেয়ার বেড়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস দেশগুলোর শেয়ার ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে।

অর্থনীতিবিদ আব্দুর দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রিকস জোটের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। দিনদিন তারা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। তাই বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে থাকলে বাণিজ্যে অনেক প্রসার ঘটতে পারে। পাশাপাশি ঋণ সুবিধাসহ বাণিজ্যেও সুযোগ সুবিধা তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ ছাড়াও এখন ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ২৪টি দেশ। আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশিরভাগ বাণিজ্য থাকায়, ব্রিকসের সদস্য হলেও ঘাটতির আশঙ্কা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যবসা পশ্চিমা দেশ ও আমেরিকার সঙ্গে। তবে ব্রিকস যেহেতু একটি অর্থনৈতিক জোট। তাই এতে বাংলাদেশ সদস্য হলে পশ্চিমাদের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছি। বরং বাংলাদেশ ব্রিকস থেকে নানা সুবিধা নিতে পারবে।

ব্রিকসের আগামী সম্মেলনে যাদের সদস্য করা হবে, তারা প্রথমে সহযোগীর মর্যদা পাবে। পরে দুই কিংবা তিন বছরে পূর্ণ সদস্য হবে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক জোট ব্রিক গঠন করা হয়। পরের বছরই এ জোটে যোগ দেয় সাউথ আফ্রিকা। জোটের নতুন নাম দেওয়া হয় ব্রিকস।