ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে আসন্ন সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য এই ব্লকের দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসব কথাজানান মন্ত্রী।

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট হলো ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার আদ্যক্ষরে এর নামকরণ। ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা যোগ দেওয়ার আগে এটি ব্রিক নামে পরিচিত ছিল। যা ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এর সদর দপ্তর চীনের সাংহাইয়ে।

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য- বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতা। এ ছাড়া মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় ব্রিকস।

২০১৪ সালে জোটের সদস্য দেশগুলো মিলে গঠন করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এনডিবি। এটি একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক। ঋণসহ অন্যান্য আর্থিক উপকরণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে সমর্থন ও অনুদান দেয় তারা।

আগামী ২২ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে বসছে জোটের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন। বিশেষ আমন্ত্রণে এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জোটের পাঁচ সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও এই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ প্রায় ২১টি দেশ আবেদন করেছে। কিন্তু জোট সম্প্রসারণ প্রশ্নে এখনও একমত হতে পারেনি সদস্য দেশগুলো। চীন বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়ে আগ্রহী হলেও, আপাতত জোটের আকার বাড়াতে অনাগ্রহ ভারত ও ব্রাজিলের। এমন দ্বিধায় অনিশ্চিয়তায় এখন ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা নতুন কিছু দেশকে ব্রিকসে.. বলছিলেন যে আমরা পাঁচটি দেশ আমরা আরও কয়েকটি দেশ, আটটা নিতে চাই, যারা পাওয়ার ফুল ইকোনোমিস। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কারা। তারা বলেছিলেন যে সৌদি আরব, ইউএই, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এ সব। এখন কিছু নতুন ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। ব্রিকসে জয়েন ছাড়াও বহু দেশের লোকের সাথে সাক্ষাৎ হবে। আর ওখানে অনেক সুযোগও আছে। সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে যাবেন।’

ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে দিল্লির সঙ্গে ঢাকা কোন কূটনৈতিক আলোচনা চালাবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, জোটের সিদ্ধান্তের ওপরই বিষয়টি নির্ভর করে তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়া আর ব্রাজিল বলছে যে, আগে নেওয়ার একটা নিয়ম কানুন তৈরি হোক। তারপরে নেবে। এটা তাদের বিতর্ক, আমাদের নয়। কিন্তু যখন নেয় নেবে। আমাদের কোনো আপত্তি নাই।’

এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৭০ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে ব্রিকস সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ২৪ আগষ্ট এতে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় : ১১:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে আসন্ন সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য এই ব্লকের দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসব কথাজানান মন্ত্রী।

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট হলো ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার আদ্যক্ষরে এর নামকরণ। ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা যোগ দেওয়ার আগে এটি ব্রিক নামে পরিচিত ছিল। যা ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এর সদর দপ্তর চীনের সাংহাইয়ে।

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য- বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতা। এ ছাড়া মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় ব্রিকস।

২০১৪ সালে জোটের সদস্য দেশগুলো মিলে গঠন করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এনডিবি। এটি একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক। ঋণসহ অন্যান্য আর্থিক উপকরণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে সমর্থন ও অনুদান দেয় তারা।

আগামী ২২ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে বসছে জোটের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন। বিশেষ আমন্ত্রণে এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জোটের পাঁচ সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও এই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ প্রায় ২১টি দেশ আবেদন করেছে। কিন্তু জোট সম্প্রসারণ প্রশ্নে এখনও একমত হতে পারেনি সদস্য দেশগুলো। চীন বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়ে আগ্রহী হলেও, আপাতত জোটের আকার বাড়াতে অনাগ্রহ ভারত ও ব্রাজিলের। এমন দ্বিধায় অনিশ্চিয়তায় এখন ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা নতুন কিছু দেশকে ব্রিকসে.. বলছিলেন যে আমরা পাঁচটি দেশ আমরা আরও কয়েকটি দেশ, আটটা নিতে চাই, যারা পাওয়ার ফুল ইকোনোমিস। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কারা। তারা বলেছিলেন যে সৌদি আরব, ইউএই, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এ সব। এখন কিছু নতুন ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। ব্রিকসে জয়েন ছাড়াও বহু দেশের লোকের সাথে সাক্ষাৎ হবে। আর ওখানে অনেক সুযোগও আছে। সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে যাবেন।’

ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে দিল্লির সঙ্গে ঢাকা কোন কূটনৈতিক আলোচনা চালাবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, জোটের সিদ্ধান্তের ওপরই বিষয়টি নির্ভর করে তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়া আর ব্রাজিল বলছে যে, আগে নেওয়ার একটা নিয়ম কানুন তৈরি হোক। তারপরে নেবে। এটা তাদের বিতর্ক, আমাদের নয়। কিন্তু যখন নেয় নেবে। আমাদের কোনো আপত্তি নাই।’

এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৭০ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে ব্রিকস সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ২৪ আগষ্ট এতে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তিনি।