ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়েছে চাল-ডাল-আটার দাম, কমেছে ডিম-মুরগির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। যেসব পণ্যের দাম কমেছে সেগুলো দুই-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছিল।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে তেল ও চিনির দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, এ দুই পণ্য ও চাল বাদে বাকি পণ্যগুলো প্রায় পুরোটা আমদানিনির্ভর। সেগুলো পণ্যের দাম নির্ধারিত না থাকায় দফায় দফায় বাড়ছে। আর মৌসুম শেষে সরবরাহ কমতে থাকায় বাড়ছে চালের দাম। যেসব পণ্যের দাম কমেছে সেগুলো বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

রামপুরা কাঁচা বাজারে বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা ছিল। এখন ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রসুন ও আদার দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।

তিনি বলেন, এখন সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে। প্রায় বাজারে আসছে মোবাইল কোর্ট। সেজন্য পণ্যের দামে কিছুটা প্রভাব পড়ছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, সপ্তাহ খানেক আগে এর দাম ছিল ৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ বা তারও বেশি দামে। সেই হিসাবে এই মাংসের দাম কমেছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকা। ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি খাসির মাংস।

এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেছে, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০, ছোট কাচকি মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, কাতলা ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ও সিং মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া ছোট বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, রূপচাঁদা ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, জাটকা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা ও দেড় কেজির ইলিশ ১৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। প্রতি কেজি সাধারণ মানের পাইজাম বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।

এছাড়া প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় ঠেকেছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা হয়েছে। খোলা আটা কেনা যাচ্ছে ৬৫ টাকায়, আর ময়দা ৭৫ টাকায়।

ভোজ্যতেল ও চিনির বাড়তি দাম বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন দামে এক লিটারের বোতল সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ১৭৮ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতল সয়াবিন তেলের নতুন দাম ৯২৫ টাকা। আগে ছিল ৮৮০ টাকা। খোলা সয়াবিনের নতুন দামে প্রতি লিটার ১৭২ টাকা। এতদিন ছিল ১৫৮ টাকা।

এছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে। কোথাও কোথাও কিছুটা কম দামে ১১৫ টাকায় চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বেড়ে চলেছে প্রায় সব ধরনের ডালের দাম। নতুন করে বাড়ছে ছোলার দামও। খোলা বাজারে মসুর ডালের কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলার প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শীতকাল আসলেও বাজারে কমেনি সবজির দাম। প্রতিকেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা।

আকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতিকেজি শসার দাম ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া, লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের বাজারে প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারে কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।

বাজারে কথা হয় সবজি বিক্রেতা মানিকের সঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত শীতকালে সবজির দাম কম থাকে। তবে এখনও দাম বেশি। কারণ আমদানি ও সরবরাহ কম। আশা করছি, দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই সবজির দাম কমে যাবে।

বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ৩০-৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া, রসুন ১৩০-১৪০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কথা হয় আকাশ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে চলা যাচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মতো অসংখ্য মধ্যম আয়ের মানুষ বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যে কীভাবে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন- তারাই ভালো জানেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়েছে চাল-ডাল-আটার দাম, কমেছে ডিম-মুরগির

আপডেট সময় : ১২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। যেসব পণ্যের দাম কমেছে সেগুলো দুই-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছিল।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে তেল ও চিনির দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, এ দুই পণ্য ও চাল বাদে বাকি পণ্যগুলো প্রায় পুরোটা আমদানিনির্ভর। সেগুলো পণ্যের দাম নির্ধারিত না থাকায় দফায় দফায় বাড়ছে। আর মৌসুম শেষে সরবরাহ কমতে থাকায় বাড়ছে চালের দাম। যেসব পণ্যের দাম কমেছে সেগুলো বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

রামপুরা কাঁচা বাজারে বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা ছিল। এখন ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রসুন ও আদার দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।

তিনি বলেন, এখন সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে। প্রায় বাজারে আসছে মোবাইল কোর্ট। সেজন্য পণ্যের দামে কিছুটা প্রভাব পড়ছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, সপ্তাহ খানেক আগে এর দাম ছিল ৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ বা তারও বেশি দামে। সেই হিসাবে এই মাংসের দাম কমেছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকা। ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি খাসির মাংস।

এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেছে, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০, ছোট কাচকি মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, কাতলা ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ও সিং মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া ছোট বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, রূপচাঁদা ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, জাটকা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা ও দেড় কেজির ইলিশ ১৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। প্রতি কেজি সাধারণ মানের পাইজাম বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।

এছাড়া প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় ঠেকেছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা হয়েছে। খোলা আটা কেনা যাচ্ছে ৬৫ টাকায়, আর ময়দা ৭৫ টাকায়।

ভোজ্যতেল ও চিনির বাড়তি দাম বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন দামে এক লিটারের বোতল সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ১৭৮ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতল সয়াবিন তেলের নতুন দাম ৯২৫ টাকা। আগে ছিল ৮৮০ টাকা। খোলা সয়াবিনের নতুন দামে প্রতি লিটার ১৭২ টাকা। এতদিন ছিল ১৫৮ টাকা।

এছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে। কোথাও কোথাও কিছুটা কম দামে ১১৫ টাকায় চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বেড়ে চলেছে প্রায় সব ধরনের ডালের দাম। নতুন করে বাড়ছে ছোলার দামও। খোলা বাজারে মসুর ডালের কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলার প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শীতকাল আসলেও বাজারে কমেনি সবজির দাম। প্রতিকেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা।

আকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতিকেজি শসার দাম ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া, লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের বাজারে প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারে কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।

বাজারে কথা হয় সবজি বিক্রেতা মানিকের সঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত শীতকালে সবজির দাম কম থাকে। তবে এখনও দাম বেশি। কারণ আমদানি ও সরবরাহ কম। আশা করছি, দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই সবজির দাম কমে যাবে।

বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ৩০-৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া, রসুন ১৩০-১৪০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কথা হয় আকাশ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে চলা যাচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মতো অসংখ্য মধ্যম আয়ের মানুষ বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যে কীভাবে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন- তারাই ভালো জানেন।