ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৃদ্ধ বাবা-মা দুটি মিষ্টি কথা শুনতে চান: ডিএমপি কমিশনার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি’ প্রদান করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ৬ষ্ঠ তলার ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেধাবী সন্তান ও গর্বিত অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যের সন্তানেরা অ্যাকাডেমিক পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছে, এজন্য আমরা গর্বিত। পুলিশের সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে তার মায়ের। কারণ পুলিশে যারা চাকরি করে তারা সর্বক্ষণ জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য, দেশের জন্য ব্যস্ত থাকেন। এজন্য সন্তানের খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনাসহ যত্ন নিতে হয় তার মাকে। তাই এ কৃতিত্ব মায়েদেরই। তারা ২৪ ঘণ্টাই সন্তান, সংসার ও স্বামীর জন্য সময় দেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। ভালো ফলাফল করলাম, ভালো চাকরি পেলাম, বিয়েসাদি করে আলাদা থাকলাম, তাহলে কাজ শেষ হলো না। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা সন্তানের কাছে ভাত-কাপড় চান না, তারা নিজের সন্তানের একটু হাসি মুখে দুটো মিষ্টি কথা শুনতে চান। নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন। এ শেকড় কখনো ছিন্ন করা যাবে না। একাডেমিক ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে জনগণের সেবা করতে হবে, দেশের সেবা করতে হবে, বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে।

jagonews24

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারল না, এজন্য কোনো ধরনের মানসিক চাপ না দিয়ে তার চেষ্টা ও মেধার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কেন না এক সময় সেটা বিকশিত হবেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যের একটি পরিবার। এখানে কেউ ভালো করলে সবাই প্রশংসিত হয় আবার খারাপ করলেও সবার গায়ে লাগে। এজন্য এ বাহিনীর কোনো সদস্য যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে সকলকে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সময় ও সুযোগ পেলে নিজ পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের মেধাবী ও কৃতী সন্তানদের পড়ালেখায় আরও উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৭ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছর ডিএমপিতে কর্মরত ২৭১ জন গর্বিত পুলিশ সদস্যের সন্তান বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১ পেয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আইজিপি ১৩৩ জনকে মেধাবৃত্তি প্রদান করেন। বাকি ১৩৮ জনকে (এসএসসি-৭৯ ও এইচএসসি-৫৯) ডিএমপি কমিশনার মেধাবৃত্তি প্রদান করলেন।

অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃদ্ধ বাবা-মা দুটি মিষ্টি কথা শুনতে চান: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় : ০৭:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি’ প্রদান করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ৬ষ্ঠ তলার ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেধাবী সন্তান ও গর্বিত অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যের সন্তানেরা অ্যাকাডেমিক পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছে, এজন্য আমরা গর্বিত। পুলিশের সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে তার মায়ের। কারণ পুলিশে যারা চাকরি করে তারা সর্বক্ষণ জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য, দেশের জন্য ব্যস্ত থাকেন। এজন্য সন্তানের খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনাসহ যত্ন নিতে হয় তার মাকে। তাই এ কৃতিত্ব মায়েদেরই। তারা ২৪ ঘণ্টাই সন্তান, সংসার ও স্বামীর জন্য সময় দেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। ভালো ফলাফল করলাম, ভালো চাকরি পেলাম, বিয়েসাদি করে আলাদা থাকলাম, তাহলে কাজ শেষ হলো না। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা সন্তানের কাছে ভাত-কাপড় চান না, তারা নিজের সন্তানের একটু হাসি মুখে দুটো মিষ্টি কথা শুনতে চান। নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন। এ শেকড় কখনো ছিন্ন করা যাবে না। একাডেমিক ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে জনগণের সেবা করতে হবে, দেশের সেবা করতে হবে, বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে।

jagonews24

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারল না, এজন্য কোনো ধরনের মানসিক চাপ না দিয়ে তার চেষ্টা ও মেধার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কেন না এক সময় সেটা বিকশিত হবেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যের একটি পরিবার। এখানে কেউ ভালো করলে সবাই প্রশংসিত হয় আবার খারাপ করলেও সবার গায়ে লাগে। এজন্য এ বাহিনীর কোনো সদস্য যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে সকলকে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সময় ও সুযোগ পেলে নিজ পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের মেধাবী ও কৃতী সন্তানদের পড়ালেখায় আরও উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৭ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছর ডিএমপিতে কর্মরত ২৭১ জন গর্বিত পুলিশ সদস্যের সন্তান বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১ পেয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আইজিপি ১৩৩ জনকে মেধাবৃত্তি প্রদান করেন। বাকি ১৩৮ জনকে (এসএসসি-৭৯ ও এইচএসসি-৫৯) ডিএমপি কমিশনার মেধাবৃত্তি প্রদান করলেন।

অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।