ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বে ভয়াবহ পানি সংকটের ঝুঁকিতে ২৫ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বজুড়েই নিরাপদ সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানির অভাব আরও তীব্র হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নজিরবিহীন পানি সংকটের মুখোমুখি বিশ্ব। নতুন এক গবেষণা অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষ চরম পানি সংকটে রয়েছে। বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি চার জনে একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ১০০ কোটি মানুষ এ তালিকায় যুক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০৫০ সালে বিশ্বের ৩১ শতাংশ জিডিপিভুক্ত দেশগুলো উচ্চ মাত্রার পানির সংকটের মুখে পড়বে। যা ২০১০ সালে ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ।

পানি নিয়ে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (ডব্লিউআরআই) এ প্রতিবেদন চার বছর পরপর প্রকাশিত হয়। বুধবার প্রকাশিত অ্যাকুডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস নামের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করা ২৫টি দেশ প্রতি বছর পানির জন্য মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন ও ওমান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। স্বল্প সময়ের জন্য খরা দেখা দিলেও এই দেশগুলোতে ব্যবহারযোগ্য পানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে।

ডব্লিউআরআইয়ের পানি কর্মসূচির প্রধান ও গবেষণা সহযোগী সামান্থা কুজমা বলেন, ‘পানি তর্কাতীতভাবে পৃথিবীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে আমরা এই সম্পদকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাইনি, এটা হতাশাজনক।’

ডব্লিউআরআইয়ের পানি সংকটের মানচিত্রে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পানির চাহিদা বাড়ছে এবং ১৯৬০ সাল থেকে চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে পানির চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

অ্যাকুডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা বছরে অন্তত এক মাস অত্যন্ত উচ্চমাত্রায় পানির সংকটের সম্মুখীন হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এখনো নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন থেকে বঞ্চিত। এ সংকট সমাধানে এ বছর যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। এ কথা বলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপপ্রতিনিধি এমা ব্রিগহ্যাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পানির জন্য ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই সমন্বিতভাবে উদ্যোগের মাধ্যমে এ পানি ব্যবস্থাপনায় কাজ করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বে ভয়াবহ পানি সংকটের ঝুঁকিতে ২৫ দেশ

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

বিশ্বজুড়েই নিরাপদ সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানির অভাব আরও তীব্র হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নজিরবিহীন পানি সংকটের মুখোমুখি বিশ্ব। নতুন এক গবেষণা অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষ চরম পানি সংকটে রয়েছে। বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি চার জনে একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ১০০ কোটি মানুষ এ তালিকায় যুক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০৫০ সালে বিশ্বের ৩১ শতাংশ জিডিপিভুক্ত দেশগুলো উচ্চ মাত্রার পানির সংকটের মুখে পড়বে। যা ২০১০ সালে ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ।

পানি নিয়ে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (ডব্লিউআরআই) এ প্রতিবেদন চার বছর পরপর প্রকাশিত হয়। বুধবার প্রকাশিত অ্যাকুডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস নামের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করা ২৫টি দেশ প্রতি বছর পানির জন্য মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন ও ওমান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। স্বল্প সময়ের জন্য খরা দেখা দিলেও এই দেশগুলোতে ব্যবহারযোগ্য পানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে।

ডব্লিউআরআইয়ের পানি কর্মসূচির প্রধান ও গবেষণা সহযোগী সামান্থা কুজমা বলেন, ‘পানি তর্কাতীতভাবে পৃথিবীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে আমরা এই সম্পদকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাইনি, এটা হতাশাজনক।’

ডব্লিউআরআইয়ের পানি সংকটের মানচিত্রে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পানির চাহিদা বাড়ছে এবং ১৯৬০ সাল থেকে চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে পানির চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

অ্যাকুডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা বছরে অন্তত এক মাস অত্যন্ত উচ্চমাত্রায় পানির সংকটের সম্মুখীন হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এখনো নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন থেকে বঞ্চিত। এ সংকট সমাধানে এ বছর যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। এ কথা বলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপপ্রতিনিধি এমা ব্রিগহ্যাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পানির জন্য ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই সমন্বিতভাবে উদ্যোগের মাধ্যমে এ পানি ব্যবস্থাপনায় কাজ করা উচিত।