ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জেএন.১। দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনাভাইরাসের সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত নভেম্বরের শুরুতে এতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১। বিশেষ করে যেসব দেশে শীতকাল চলছে সেখানে এর বিস্তার বাড়তে পারে।

ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ধরন পাওয়া গেছে।

ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে এরইমধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

ভারতের এনডিটিভি গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে বিভিন্নজনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের নতুন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোয়া রাজ্যে ১৯ এবং একজন করে মহারাষ্ট্র ও কেরালার বাসিন্দা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, কেরালা রাজ্যে সংক্রমণ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১১৫।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

তবে সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে।

লক্ষণ ও ঝুঁকি
জেএন.১ ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট। ডব্লিউএইচও বলছে, এটি জনস্বাস্থ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে না। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক মূল্যায়নে এর ঝুঁকির মাত্রা ‘কম’ পর্যায়ে আছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর (সিডিসি) ভাষ্য, জেএন.১ লক্ষণে করোনার অন্য ধরনগুলোর থেকে আলাদা কিছু আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। লক্ষণগুলোর ধরন ও সেগুলো কতটা গুরুতর তা সাধারণত কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।

সিডিসির মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি লাগা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, জমাট বাঁধা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। জেএন.১ এর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য করোনার বিদ্যমান পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাই যথেষ্ট বলে ধারণা করছে সিডিসি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে জেএন.১ এ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৮ ডিসেম্বর সিডিসি জানায়, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রথম দেখা দেয় এবং এটি দেশটির সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ভ্যারিয়েন্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন

আপডেট সময় : ০১:০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জেএন.১। দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনাভাইরাসের সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত নভেম্বরের শুরুতে এতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১। বিশেষ করে যেসব দেশে শীতকাল চলছে সেখানে এর বিস্তার বাড়তে পারে।

ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ধরন পাওয়া গেছে।

ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে এরইমধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

ভারতের এনডিটিভি গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে বিভিন্নজনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের নতুন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোয়া রাজ্যে ১৯ এবং একজন করে মহারাষ্ট্র ও কেরালার বাসিন্দা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, কেরালা রাজ্যে সংক্রমণ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১১৫।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

তবে সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে।

লক্ষণ ও ঝুঁকি
জেএন.১ ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট। ডব্লিউএইচও বলছে, এটি জনস্বাস্থ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে না। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক মূল্যায়নে এর ঝুঁকির মাত্রা ‘কম’ পর্যায়ে আছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর (সিডিসি) ভাষ্য, জেএন.১ লক্ষণে করোনার অন্য ধরনগুলোর থেকে আলাদা কিছু আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। লক্ষণগুলোর ধরন ও সেগুলো কতটা গুরুতর তা সাধারণত কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।

সিডিসির মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি লাগা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, জমাট বাঁধা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। জেএন.১ এর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য করোনার বিদ্যমান পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাই যথেষ্ট বলে ধারণা করছে সিডিসি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে জেএন.১ এ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৮ ডিসেম্বর সিডিসি জানায়, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রথম দেখা দেয় এবং এটি দেশটির সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ভ্যারিয়েন্ট।