ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক-ডিডিটি থেকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে বিশ্ব জীববৈচিত্র সম্মেলন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকিস্তান থেকে ৫০০ টন ডিডিটি আনা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই গবেষণায় বেরিয়ে আস ডিডিটি বিষাক্ত পাউডার। এই কীটনাশককে মানুষের জন্য বিপজ্জনক ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশ এখন ডিডিটি মুক্ত।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমি আজ সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, চলতি বছরে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই তহবিল বাস্তবায়নে তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে অঙ্গীকার করেছেন। আমরা আশা করি, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোও কানাডার পথ অনুসরণ করে এ তহবিল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার পরিমাণ বাড়াবে।

তিনি জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে ২২ ডিসেম্বর সাতটি কনটেইনার রফতানির মধ্য দিয়ে দেশকে ডিডিটি মুক্ত করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডিডিটি একটি বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড। পণ্যটি দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও পানিতে অপরিবর্তনীয় অবস্থায় থাকে। খাদ্য, পানি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ডিডিটি মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। এর ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ক্যানসার ঝুঁকি, প্রজনন অক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরের কেন্দ্রস্থল আগ্রাবাদে অবস্থিত এমএসডি গুদামের চারপাশে আবাসিক/বাণিজ্যিক এলাকা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি/বেসরকারি অফিস, পার্ক অবস্থিত।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক-ডিডিটি থেকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে বিশ্ব জীববৈচিত্র সম্মেলন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকিস্তান থেকে ৫০০ টন ডিডিটি আনা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই গবেষণায় বেরিয়ে আস ডিডিটি বিষাক্ত পাউডার। এই কীটনাশককে মানুষের জন্য বিপজ্জনক ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশ এখন ডিডিটি মুক্ত।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমি আজ সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, চলতি বছরে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই তহবিল বাস্তবায়নে তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে অঙ্গীকার করেছেন। আমরা আশা করি, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোও কানাডার পথ অনুসরণ করে এ তহবিল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার পরিমাণ বাড়াবে।

তিনি জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে ২২ ডিসেম্বর সাতটি কনটেইনার রফতানির মধ্য দিয়ে দেশকে ডিডিটি মুক্ত করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডিডিটি একটি বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড। পণ্যটি দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও পানিতে অপরিবর্তনীয় অবস্থায় থাকে। খাদ্য, পানি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ডিডিটি মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। এর ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ক্যানসার ঝুঁকি, প্রজনন অক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরের কেন্দ্রস্থল আগ্রাবাদে অবস্থিত এমএসডি গুদামের চারপাশে আবাসিক/বাণিজ্যিক এলাকা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি/বেসরকারি অফিস, পার্ক অবস্থিত।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।