ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি লাঠি নিয়ে এলে, খেলা কাকে বলে দেখানো হবে : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

বিএনপি লাঠি নিয়ে এলে, খেলা কাকে বলে দেখানো হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি  বলেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিতে চাই না। তবে এবার খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। খেলা হবে, যদি তারা সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, আগুন আর লাঠি নিয়ে আসে, তবে খেলা কাকে বলে, তা দেখানো হবে

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকারের কাছে রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ পাচার করে এফবিআইয়ের কাছে ধরা খেয়েছে। এফবিআই ঢাকা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে সিঙ্গাপুরে অনেক অর্থ পাওয়া গেছে। সেই লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কারা বাংলাদেশ থেকে কত টাকা পাচার করেছে সব প্রধানমন্ত্রী খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে, টাকা পাচারকারী তারেক রহমানসহ যারা আছে, প্রত্যেকের টাকা উদ্ধার করা হবে।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন নাটক শুরু করেছে। কোথাও সমাবেশ হলেই তাদের নাটক শুরু হয়। তারা এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাঁড়ি-পাতিল, কাঁথা-বালিশ, লেপ-তোশক, কম্বল, পাটি, মশার কয়েল নিয়ে সেখানে জড়ো হয়। তারপরও বলে সরকার বাধা দিচ্ছে। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি। আমরা রাজশাহীতে বলে দিয়েছি পরিবহন ধর্মঘট না করতে। ঢাকার সমাবেশেও বলে দিয়েছি পরিবহন চলবে। ঢাকায় সমাবেশ করতে তাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলে দিয়েছেন পরিবহন ধর্মঘট না করতে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে দেখা যাবে কারা জয়ী হয়। সরকারের পতন চেয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো অনেক রাষ্ট্র থেকে ভালো আছে। শেখ হাসিনা যতদিন আছে বাংলাদেশ ততদিন ভালো থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা হয়েছে, যেখানে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলে সেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে তিনি (ফখরুল) নাকি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিএনপি আসলে মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে না। এদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। কারণ মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে তাদের অন্তর জ্বলে। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না মির্জা ফখরুলরা।

সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি। রাজশাহীকে বলেছি কোথাও গাড়ি বন্ধ হবে না। ঢাকায়ও পরিবহন বন্ধ হবে না। ঢাকায় সমাবেশ করতে তাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলে দিয়েছেন পরিবহন ধর্মঘট না করতে। এরপর যদি আগুন নিয়ে, লাঠি নিয়ে নামেন তাহলে সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি তাই আমরা ক্ষমতায় থেকে দেশে কোনো অশান্তি চাই না।

আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতায় থেকে কেন আমরা অশান্তি সৃষ্টি করব। কেন আমরা আতঙ্ক সৃষ্টি করব। আমরা তো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। কারণ, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমি বিএনপিকে আবার বলতে চাই, পরের নির্বাচনে আসুন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সরকারকে বলেছে সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে। আমি বলতে চাই, সেফ এক্সিটের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই।

যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন। তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন; কিন্তু এখনও বাংলাদেশে সোমালিয়া ও সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গোপালগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংরক্ষিত নারী আসন-২৫ এর সংসদ সদস্য নার্গিস রহমান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি লাঠি নিয়ে এলে, খেলা কাকে বলে দেখানো হবে : কাদের

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

বিএনপি লাঠি নিয়ে এলে, খেলা কাকে বলে দেখানো হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি  বলেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিতে চাই না। তবে এবার খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। খেলা হবে, যদি তারা সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, আগুন আর লাঠি নিয়ে আসে, তবে খেলা কাকে বলে, তা দেখানো হবে

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকারের কাছে রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ পাচার করে এফবিআইয়ের কাছে ধরা খেয়েছে। এফবিআই ঢাকা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে সিঙ্গাপুরে অনেক অর্থ পাওয়া গেছে। সেই লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কারা বাংলাদেশ থেকে কত টাকা পাচার করেছে সব প্রধানমন্ত্রী খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে, টাকা পাচারকারী তারেক রহমানসহ যারা আছে, প্রত্যেকের টাকা উদ্ধার করা হবে।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন নাটক শুরু করেছে। কোথাও সমাবেশ হলেই তাদের নাটক শুরু হয়। তারা এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাঁড়ি-পাতিল, কাঁথা-বালিশ, লেপ-তোশক, কম্বল, পাটি, মশার কয়েল নিয়ে সেখানে জড়ো হয়। তারপরও বলে সরকার বাধা দিচ্ছে। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি। আমরা রাজশাহীতে বলে দিয়েছি পরিবহন ধর্মঘট না করতে। ঢাকার সমাবেশেও বলে দিয়েছি পরিবহন চলবে। ঢাকায় সমাবেশ করতে তাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলে দিয়েছেন পরিবহন ধর্মঘট না করতে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে দেখা যাবে কারা জয়ী হয়। সরকারের পতন চেয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো অনেক রাষ্ট্র থেকে ভালো আছে। শেখ হাসিনা যতদিন আছে বাংলাদেশ ততদিন ভালো থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা হয়েছে, যেখানে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলে সেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে তিনি (ফখরুল) নাকি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিএনপি আসলে মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে না। এদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। কারণ মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে তাদের অন্তর জ্বলে। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না মির্জা ফখরুলরা।

সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি। রাজশাহীকে বলেছি কোথাও গাড়ি বন্ধ হবে না। ঢাকায়ও পরিবহন বন্ধ হবে না। ঢাকায় সমাবেশ করতে তাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলে দিয়েছেন পরিবহন ধর্মঘট না করতে। এরপর যদি আগুন নিয়ে, লাঠি নিয়ে নামেন তাহলে সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি তাই আমরা ক্ষমতায় থেকে দেশে কোনো অশান্তি চাই না।

আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতায় থেকে কেন আমরা অশান্তি সৃষ্টি করব। কেন আমরা আতঙ্ক সৃষ্টি করব। আমরা তো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। কারণ, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমি বিএনপিকে আবার বলতে চাই, পরের নির্বাচনে আসুন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সরকারকে বলেছে সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে। আমি বলতে চাই, সেফ এক্সিটের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই।

যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন। তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন; কিন্তু এখনও বাংলাদেশে সোমালিয়া ও সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গোপালগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংরক্ষিত নারী আসন-২৫ এর সংসদ সদস্য নার্গিস রহমান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।