ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতারের অভিযোগ সত্য নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং ওয়ারেন্ট আছে তাদেরকেই ধরা হচ্ছে।

বুধবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে, অন্যায় করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে ধরবে এটাই নিয়মিত কার্যক্রম। যাদেরকে ধরা হচ্ছে যদি আপনারা দু’একজনের নাম বলেন তাহলে আমি বলে দিতে পারবো তাদের বিরুদ্ধে কতগুলো পরোয়ানা ছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, তালিকা দেখলে দেখা যায়, একেকজনের বিরুদ্ধে ২০-৩০টি করে পরোয়ানা ছিল। এগুলো আজকের নয় বহু পুরানো পরোয়ানা। তাদের বহুবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করার কিন্তু তারা করেননি। সেই ওয়ারেন্ট ধরে পুলিশ তামিল করছে। এর মানে এই নয় মির্জা ফখরুল সাহেব যেটা বলেছেন সেটা সত্য নয়।

যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে, সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে শুধু তাদেরকে ধরা হচ্ছে। আমাদের পুলিশ এখন অত্যন্ত দক্ষ, অত্যন্ত অভিজ্ঞ। পুলিশ যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। নির্বাচনের জন্য পুলিশকে সাজানো গোছানোর প্রশ্নই আসে না বলেও জানান তিনি। আর দুবাই এ বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে দেশে ফেরত আনা অসম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গতকাল সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন- একতরফা সিটি নির্বাচন ঘোষণার পর সারাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। ঢাকাতে এরইমধ্যে পনেরোশো মামলা দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আবারো সাজা দেয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতারের অভিযোগ সত্য নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং ওয়ারেন্ট আছে তাদেরকেই ধরা হচ্ছে।

বুধবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে, অন্যায় করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে ধরবে এটাই নিয়মিত কার্যক্রম। যাদেরকে ধরা হচ্ছে যদি আপনারা দু’একজনের নাম বলেন তাহলে আমি বলে দিতে পারবো তাদের বিরুদ্ধে কতগুলো পরোয়ানা ছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, তালিকা দেখলে দেখা যায়, একেকজনের বিরুদ্ধে ২০-৩০টি করে পরোয়ানা ছিল। এগুলো আজকের নয় বহু পুরানো পরোয়ানা। তাদের বহুবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করার কিন্তু তারা করেননি। সেই ওয়ারেন্ট ধরে পুলিশ তামিল করছে। এর মানে এই নয় মির্জা ফখরুল সাহেব যেটা বলেছেন সেটা সত্য নয়।

যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে, সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে শুধু তাদেরকে ধরা হচ্ছে। আমাদের পুলিশ এখন অত্যন্ত দক্ষ, অত্যন্ত অভিজ্ঞ। পুলিশ যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। নির্বাচনের জন্য পুলিশকে সাজানো গোছানোর প্রশ্নই আসে না বলেও জানান তিনি। আর দুবাই এ বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে দেশে ফেরত আনা অসম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গতকাল সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন- একতরফা সিটি নির্বাচন ঘোষণার পর সারাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। ঢাকাতে এরইমধ্যে পনেরোশো মামলা দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আবারো সাজা দেয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।