বাজেটের উত্তাপ বাজারে
- আপডেট সময় : ১২:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
- / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। এর পরদিনই আজ মাছ-মাংসের বাজারে উত্তাপ দেখা গেছে। ক্রেতা-জনসাধারণরা বলছেন, বাজেটের পরদিনই মাছ-মাংসের দাম বেড়ে গেছে। যেকারণে বছরের বাকি দিনগুলো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে তাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের নিজস্ব গতিতেই দাম ওঠানামা করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রবাড়ী, শনির আখড়াসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
শান্তি নেই পুষ্টির সংস্থান সবজির বাজারেও। সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়েই চলছেন ব্যবসায়ীরা। বেশিরভাগ সবজির দামই ৬০ থেকে ১০০ টাকার ওপরে। কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ২০ টাকার আলুর কেজি এখন ৪৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি পৌঁছেছে ৯০ টাকায়।
দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকায়। কচুর মুখির কেজি ১০০ টাকা। প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- ভেন্ডি, কাঁচা আম। ৫০ টাকা কেজিতে হচ্ছে- দেশি আলু, পটল, চাল কুমড়া। এছাড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া সবজিগুলো হচ্ছে- পেঁপে, টমেটো, শসা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, মুলা, ঝিঙ্গা, বরবটি, হাইব্রিড কচুর লতি। করলা, দেশি কচুর লতি, গাজর, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা। কাঁচা পাকা মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০-৪০ টাকা।
অপরদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও একই জায়গায় রয়েছে। তবে, সম্প্রতি এগুলো বেড়ে এখন স্থিতিশীলতায় রয়েছে।
বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। মুরগি ও ডিমের বাজারে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারে ৫০ টাকা হালিতে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংস ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯৫০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি, ছোট ইলিশ (৫০০/৬০০ গ্রামের) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। মাঝারি রকমের (১২০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা। আর দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত।
এছাড়াও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, কাতল মাছে ৩০০ টাকা, দেশি পুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি, বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।