ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট  ব্যুরো অফিস : 

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না, চাইলে যেকোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন উদ্বোধন শেষে তিনি এই কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের নিজেদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি মানায় না। আমেরিকায় ১৩-১৪ বারে হলো স্পিকার, এই ধরনের ঝামেলা তো আমাদের হয় না।

তিনি বলেন, এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ মেজোরিটি পেলো, তাদের সরকার গঠন করতে দিলো না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য, তুলে ধরার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপালগুলো আছে। তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে এই পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অঙ্গীকার করেছি, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা আসতে চায়, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমেরিকার ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, সে দেশের ডেমোক্রেসি খুবই দুর্বল। আর রিপাবলিকানরা মনে করে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ওয়াজ অ্যা ফ্রড ইলেকশন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেও কিছু লোক এ ধরনের আছে। ওই দেশে (আমেরিকা) গড়ে ৫০ শতাংশের নিচে লোকজন ভোট দেয়, আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০ ও ৯০ ভাগ লোক ভোট দেয়।

গাইবান্ধার নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন খুবই অংশগ্রহণমূলক, স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময়। ওইসব দেশে একমাস আগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। আর আমাদের দেশে এক বছর আগে থেকেই প্রচারণা চালানো হয়।

আব্দুল মোমেন বলেন, অন্যরা মাতব্বরি করতে পারেন। কিন্তু দে শুড ফলো আস (তাদের উচিত আমাদের অনুসরণ করা), আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। সুতরাং ওই সম্পর্কে উনারা যে বিভিন্ন সন্দেহ পোষণ করেন, তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব, জ্ঞানের অভাব। এবং তারা হয়তো জিনিসগুলো ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলে অনেক সময় অনেক অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি আশা করবো তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক আর আমাদের চলার পথটা দেখুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। কোনোদিন মিলিটারি দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং ওই সম্পর্কে যারা সন্দেহ করেন, তাদের ইতিহাস, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের অভাব। আমি আশা করব, তারা আওয়ামী লীগের ইতিহাস পড়বেন, অযথা মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।

সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট  ব্যুরো অফিস : 

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না, চাইলে যেকোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন উদ্বোধন শেষে তিনি এই কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের নিজেদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি মানায় না। আমেরিকায় ১৩-১৪ বারে হলো স্পিকার, এই ধরনের ঝামেলা তো আমাদের হয় না।

তিনি বলেন, এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ মেজোরিটি পেলো, তাদের সরকার গঠন করতে দিলো না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য, তুলে ধরার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপালগুলো আছে। তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে এই পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অঙ্গীকার করেছি, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা আসতে চায়, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমেরিকার ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, সে দেশের ডেমোক্রেসি খুবই দুর্বল। আর রিপাবলিকানরা মনে করে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ওয়াজ অ্যা ফ্রড ইলেকশন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেও কিছু লোক এ ধরনের আছে। ওই দেশে (আমেরিকা) গড়ে ৫০ শতাংশের নিচে লোকজন ভোট দেয়, আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০ ও ৯০ ভাগ লোক ভোট দেয়।

গাইবান্ধার নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন খুবই অংশগ্রহণমূলক, স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময়। ওইসব দেশে একমাস আগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। আর আমাদের দেশে এক বছর আগে থেকেই প্রচারণা চালানো হয়।

আব্দুল মোমেন বলেন, অন্যরা মাতব্বরি করতে পারেন। কিন্তু দে শুড ফলো আস (তাদের উচিত আমাদের অনুসরণ করা), আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। সুতরাং ওই সম্পর্কে উনারা যে বিভিন্ন সন্দেহ পোষণ করেন, তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব, জ্ঞানের অভাব। এবং তারা হয়তো জিনিসগুলো ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলে অনেক সময় অনেক অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি আশা করবো তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক আর আমাদের চলার পথটা দেখুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। কোনোদিন মিলিটারি দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং ওই সম্পর্কে যারা সন্দেহ করেন, তাদের ইতিহাস, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের অভাব। আমি আশা করব, তারা আওয়ামী লীগের ইতিহাস পড়বেন, অযথা মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।

সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।