ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বন্যাপ্রবন এলাকায় গবাদীপশু পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে

বন্যাপ্রবন এলাকায় গবাদীপশু পালনের দৃশ্য

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শামছুর রহমান শিশির :

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। সেই হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকার ফসলি জমি দীর্ঘসময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকায় সারা বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ করাও সম্ভব নয়। ফলে ওইসব এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে বন্যাকালীন ও বন্যাপরবর্তীতে বেশ কিছু সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে গবাদীপশু প্রতিপালন সারা বছরেই করা সম্ভব। এতে বন্যা চলাকালীন বা বন্যা পরবর্তীতে এলাকাাবাসী খুব সহজেই গবাদীপশু লালনপালনের মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন।

পশুবিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাপ্রবন এলাকায় আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করায় পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বন্যাপ্রবন এলাকা যথোপযোক্ত নয়। ফলে বিকল্প হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকায় গবাদীপশু লালনপালন অত্যন্ত লাভজনক ও দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যমুনা নদীর দুই তীরে এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। গবাদীপশুপালনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসাবে রংপুর, বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, পাবনা জেলার বেড়া (আংশিক)সহ মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইল এলাকার যমুনা নদীর দুইপাড়ে দিনদিন গবাদীপশু পালনে ঝুঁকছেন এলাকাবাী এবং অনেকে সফলতা অর্জন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জানা গেছে, বন্যাপ্রবন এলাকায় বিশেষ করে যমুনা নদীসহ শাখানদীগুলোর দুইপাড়ে বন্যার কারণে জমিতে ব্যাপকভাবে পলি পড়ায় অত্যন্ত স্বল্প খরচে ব্যাপক ভিত্তিতে কাইশ্যা, দুর্বা, ভাদাইল, গ্যামা, নেপিয়ার, লিগুমিনাস জাতীয় খেসারী, মটরশুঁটি জন্মে থাকে। বিশেষতঃ লিগুমিনাস জাতীয় ঘাস একদিকে যেমন গবাদীপশুর পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, অন্যদিকে ওই জাতীয় ঘাস উৎপাদনের ফলে মাটির উর্বরা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে ও চরাঞ্চলে স্বরগাম জাতীয় ঘাসে ভূট্টার মতো বাইল হয় যা পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসাবে গবাদীপশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। সেইসাথে চরাঞ্চলে রোপিত বাদাম তোলার পর বাদামের গাছ তাজা থাকে। ওই তাজা বাদামের গাছ গবাদীপশুর পুষ্টিকর খাবার হিসাবে খাওয়ানো যেতে পারে।

কাঁচাজাতীয় ঘাস গবাদীপশুর জন্য শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয়, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি, দুধের ফ্যাট বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে সহায়তা, বাছুরের জন্মান্ধ রোধ, ভিটামিন ও প্রজনন জাতীয় সমস্যা নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বন্যাপ্রবন এলাকায় ব্যপকভাবে ওইসব ঘাস উৎপাদিত হওয়ায় স্বল্প খরচে গবাদীপশু লালন পালন সম্ভব। আবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পলি পড়া জমিতে সার ছাড়াই মাশকালাই বপন করা হয় যা পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসাবে খামারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

বন্যাপ্রবন এলাকায় উৎপাদিত দুগ্ধ নৌকার মাধ্যমে স্বল্প পরিবহন ব্যায়ে বাজারজাত করা সম্ভব। এসব এলাকাগুলোতে বিভিন্ন দুধ সংগ্রহকারী স্ংস্থা দুগ্ধ সংগ্রহে খামারীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতে করায় গো-খামারীদের দুধ বিপননে খুব একটা বেগও পোহাতে পেতে হয়না।

বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদগণের মতে, ‘বন্যাপ্রবন এলাকাগুলোতে ৫-৬ মাস বিস্তৃর্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে থাকায় সারা বছর কৃষি কাজ করা সম্ভব হয়না। কিন্তু এসব এলাকার জনসাধারণ যদি বাড়ীতে দু’একটি গাভী লালনপালন করেন তাহলে সারা বছরেই তাদের হাতে কিছু না কিছু কাজ থেকে যাবে। কাঁচা ঘাসের সহজপ্রাপ্যতা, স্বল্পমূল্যে ঘাস উৎপাদন, উৎপাদিত দুগ্ধ বাজারজাত করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান, গবাদীপুশুর বর্জ্য (গোবর) হতে জ্বালানী উৎপাদন ও বিক্রি, বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ব্যবহার ও জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার এবং জৈব সার হিসাবেও জমিতে ব্যবহার করে রাসায়নিক সারের চাহিদাও অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।’

তাদের মতে, ‘বন্যাপ্রবন এলাকায় বিশেষ করে যমুনা নদীর উভয় তীরে খুব সহজেই গবাদীপশু প্রতিপালন করে সারা বছরেরই লাভজনক এ শিল্পখাত হতে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দরিদ্র এলাকাবাসী স্বাবলম্বী হতে পারেন। বন্যাপ্রবন এলাকায় ইতিমধ্যেই গবাদীপশু লালনপালন করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করায় অনেকেই নতুন করে এ পেশাটিকে গ্রহণ করে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসাবে বন্যাপ্রবন এলাকায় লাভজনক গবাদীপশু লালন পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এলাকাবাসী স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের মাধ্যমে স্বচ্ছল জীবনজাপন করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজন খামারীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং মান্ধাতা আমলের ব্যপস্থাপনা পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের। আর এভাবেই ওই শিল্পটিকে সমৃদ্ধশালী শিল্পে রূপ দেয়া সম্ভব। আর এটি সম্ভব হলে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সম্ভাবনাময় এ গবাদীপশু শিল্পটি।

বন্যাপ্রবন এলাকার বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ‘বন্যাপ্রবন এলাকায় সম্ভাবনাময় গবাদীপশু লালনপালনে সরকার যদি ব্যাপক ভিত্তিতে শহজশর্তে খামারীদের মধ্যে ঋনদান কর্মসূচী হাতে নেন তাহলে ওইসব এলাকার দরিদ্র বেকার জনসাধারণ এলাকায় শ্বেত বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে দেশের দুধের চাহিদা পূরণ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

[লেখক : সম্পাদক, বাংলা খবর বিডি ডটকম]

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্যাপ্রবন এলাকায় গবাদীপশু পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

শামছুর রহমান শিশির :

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। সেই হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকার ফসলি জমি দীর্ঘসময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকায় সারা বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ করাও সম্ভব নয়। ফলে ওইসব এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে বন্যাকালীন ও বন্যাপরবর্তীতে বেশ কিছু সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে গবাদীপশু প্রতিপালন সারা বছরেই করা সম্ভব। এতে বন্যা চলাকালীন বা বন্যা পরবর্তীতে এলাকাাবাসী খুব সহজেই গবাদীপশু লালনপালনের মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন।

পশুবিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাপ্রবন এলাকায় আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করায় পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বন্যাপ্রবন এলাকা যথোপযোক্ত নয়। ফলে বিকল্প হিসেবে বন্যাপ্রবন এলাকায় গবাদীপশু লালনপালন অত্যন্ত লাভজনক ও দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যমুনা নদীর দুই তীরে এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। গবাদীপশুপালনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসাবে রংপুর, বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, পাবনা জেলার বেড়া (আংশিক)সহ মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইল এলাকার যমুনা নদীর দুইপাড়ে দিনদিন গবাদীপশু পালনে ঝুঁকছেন এলাকাবাী এবং অনেকে সফলতা অর্জন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জানা গেছে, বন্যাপ্রবন এলাকায় বিশেষ করে যমুনা নদীসহ শাখানদীগুলোর দুইপাড়ে বন্যার কারণে জমিতে ব্যাপকভাবে পলি পড়ায় অত্যন্ত স্বল্প খরচে ব্যাপক ভিত্তিতে কাইশ্যা, দুর্বা, ভাদাইল, গ্যামা, নেপিয়ার, লিগুমিনাস জাতীয় খেসারী, মটরশুঁটি জন্মে থাকে। বিশেষতঃ লিগুমিনাস জাতীয় ঘাস একদিকে যেমন গবাদীপশুর পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, অন্যদিকে ওই জাতীয় ঘাস উৎপাদনের ফলে মাটির উর্বরা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে ও চরাঞ্চলে স্বরগাম জাতীয় ঘাসে ভূট্টার মতো বাইল হয় যা পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসাবে গবাদীপশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। সেইসাথে চরাঞ্চলে রোপিত বাদাম তোলার পর বাদামের গাছ তাজা থাকে। ওই তাজা বাদামের গাছ গবাদীপশুর পুষ্টিকর খাবার হিসাবে খাওয়ানো যেতে পারে।

কাঁচাজাতীয় ঘাস গবাদীপশুর জন্য শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয়, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি, দুধের ফ্যাট বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে সহায়তা, বাছুরের জন্মান্ধ রোধ, ভিটামিন ও প্রজনন জাতীয় সমস্যা নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বন্যাপ্রবন এলাকায় ব্যপকভাবে ওইসব ঘাস উৎপাদিত হওয়ায় স্বল্প খরচে গবাদীপশু লালন পালন সম্ভব। আবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পলি পড়া জমিতে সার ছাড়াই মাশকালাই বপন করা হয় যা পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসাবে খামারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

বন্যাপ্রবন এলাকায় উৎপাদিত দুগ্ধ নৌকার মাধ্যমে স্বল্প পরিবহন ব্যায়ে বাজারজাত করা সম্ভব। এসব এলাকাগুলোতে বিভিন্ন দুধ সংগ্রহকারী স্ংস্থা দুগ্ধ সংগ্রহে খামারীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতে করায় গো-খামারীদের দুধ বিপননে খুব একটা বেগও পোহাতে পেতে হয়না।

বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদগণের মতে, ‘বন্যাপ্রবন এলাকাগুলোতে ৫-৬ মাস বিস্তৃর্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে থাকায় সারা বছর কৃষি কাজ করা সম্ভব হয়না। কিন্তু এসব এলাকার জনসাধারণ যদি বাড়ীতে দু’একটি গাভী লালনপালন করেন তাহলে সারা বছরেই তাদের হাতে কিছু না কিছু কাজ থেকে যাবে। কাঁচা ঘাসের সহজপ্রাপ্যতা, স্বল্পমূল্যে ঘাস উৎপাদন, উৎপাদিত দুগ্ধ বাজারজাত করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান, গবাদীপুশুর বর্জ্য (গোবর) হতে জ্বালানী উৎপাদন ও বিক্রি, বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ব্যবহার ও জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার এবং জৈব সার হিসাবেও জমিতে ব্যবহার করে রাসায়নিক সারের চাহিদাও অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।’

তাদের মতে, ‘বন্যাপ্রবন এলাকায় বিশেষ করে যমুনা নদীর উভয় তীরে খুব সহজেই গবাদীপশু প্রতিপালন করে সারা বছরেরই লাভজনক এ শিল্পখাত হতে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দরিদ্র এলাকাবাসী স্বাবলম্বী হতে পারেন। বন্যাপ্রবন এলাকায় ইতিমধ্যেই গবাদীপশু লালনপালন করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করায় অনেকেই নতুন করে এ পেশাটিকে গ্রহণ করে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসাবে বন্যাপ্রবন এলাকায় লাভজনক গবাদীপশু লালন পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এলাকাবাসী স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের মাধ্যমে স্বচ্ছল জীবনজাপন করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজন খামারীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং মান্ধাতা আমলের ব্যপস্থাপনা পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের। আর এভাবেই ওই শিল্পটিকে সমৃদ্ধশালী শিল্পে রূপ দেয়া সম্ভব। আর এটি সম্ভব হলে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সম্ভাবনাময় এ গবাদীপশু শিল্পটি।

বন্যাপ্রবন এলাকার বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ‘বন্যাপ্রবন এলাকায় সম্ভাবনাময় গবাদীপশু লালনপালনে সরকার যদি ব্যাপক ভিত্তিতে শহজশর্তে খামারীদের মধ্যে ঋনদান কর্মসূচী হাতে নেন তাহলে ওইসব এলাকার দরিদ্র বেকার জনসাধারণ এলাকায় শ্বেত বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে দেশের দুধের চাহিদা পূরণ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

[লেখক : সম্পাদক, বাংলা খবর বিডি ডটকম]